॥ সাথোয়াইঅং মারমা, রোয়াংছড়ি ॥ বান্দরবানের রোয়াংছড়ি কলেজের সাংগঠনিক কমিটি উদ্যোগে কলেজ প্রতিষ্ঠা প্রথম ব্যাচ ২০১৬-২০১৭ শিক্ষার্থীকে নবীন বরন, আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার দিকে অনুষ্ঠানে বাংলা প্রভাষক নোউহ ত্রিপুরা সভা সঞ্চালনায় কলেজে পরিচালনা সাংগঠনিক কমিটি সভাপতি হ্লাথোয়াইহ্রী মারমা নবীন বরন অনুষ্ঠানে সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর স্বপন কুমার বণিক। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর প্রদীপ বড়ুয়া, নবজাতীয় করণ করা রুমা সরকারি সাঙ্গু কলেজে (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ শৈপ্রুচিং মারমা, সাংগঠনিক কমিটি অন্যতম সদস্য ও বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য কাঞ্চন জয় তঞ্চঙ্গ্যা, রোয়াংছড়ি উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মাউসাং মারমা। আরো অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন রোয়াংছড়ি কলেজের (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যক্ষ আনন্দসেন তঞ্চঙ্গ্যা (আইসিটি) ও তথ্য যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রভাষক উথোয়াইপ্রু মারমা, ইংরেজী প্রভাষক উচনু মারমা, অত্র কলেজের সকল বিষয়ে প্রভাষকগণ, রোয়াংছড়ি সদর ইউপি চেয়ারম্যান চহ্লামং মারমা, আলেক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান বিশ্বনাথ তঞ্চঙ্গ্যাসহ এলাকার জনপ্রতিনিধি কারবারী, হেডম্যান,মেম্বার, অভিভাক ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার সুযোগ সুবিধা হয়েছে। যারা দরিদ্র শিক্ষার্থীরা নিজ বাড়ি থেকে দুমুঠো ভাত খেয়ে কলেজে যেতে পারবে। বর্তমান সরকার প্রত্যেকটি উপজেলাতে একটি কলেজ স্থাপন করা প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। সে প্রতিশ্রুতি পূর্ণ হতে চলেছে। পার্বত্য এলাকার পিছিয়ে পড়া জন গোষ্ঠীর উচ্চশিক্ষা লাভের জন্য সুযোগ হয়েছে। এ কলেজ থেকে র্শিক্ষার্থীরা আগামী দিনে একজন দেশের সেবক, একজন জনপ্রতিনিধি, একজন ইঞ্জিনিয়ার, একজন ডা:,শিক্ষক, প্রভাষক, অধ্যাপক, রাজনৈতিকবিদ, বুদ্ধিজীবী হয়ে দেশ পরিচালনা করবে বলে জানান বক্তারা। দেশের সেবায় নিয়োজিত থাকবে এ কলেজে শিক্ষার্থীরা। প্রধান অতিথি বলেন রোয়াংছড়িতে জরুরী ভাবে আগে থেকে প্রয়োজন ছিল একটি কলেজ। যখন এই কলেজ স্থাপন করেছে তা টিকিয়ে রাখতে হবে। শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিরা আছে বলে আজ কলেজ প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছে। শিক্ষা জাতি মেরুদন্ড,যে জাতির শিক্ষা নাই সে জাতি উন্নতি করতে পারে না। শিক্ষা ছাড়া কোন বিকল্প নেই। আজকের শিক্ষার্থী আগামী দিনের একজন দেশ ও রাষ্ট্রের সেবা করবে।
