বাবার লাশকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে পারলেন না শক্তিমান চাকমার একমাত্র মেয়ে শ্রেয়া চাকমা। হাজারো বেদনা ও অশ্রুসিক্ত মন নিয়ে বাবার নিথর দেহের প্রতি চেয়ে রইলেন মেয়ে শ্রেয়া চাকমা। চোখে সমুদ্র সমান জল কিন্তু এক ফোটা জলও গড়িয়ে পড়লো মেয়ে শ্রেয়া চাকমার। শুধু একটি বার বাবার মাথায় হাত বুলিয়ে দিলেন শ্রেয়া চাকমা। রাঙ্গামাটি মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্রী শ্রেয়া চাকমা।
শ্রেয়া চাকমার চোখে মুখে ছিলো বাবার জন্য অনেক আবেদন কিন্তু বলতে পারছে না। তাকে ঘিরে আছে তার শিক্ষক, ক্লাসের সহপাঠিরা। মিনিট পাঁচেক বাবার দিকে তাকিয়ে থেকে চোখ ছলছল করছে কিন্তু কাঁদতে পারছে না। কারো বিরুদ্ধে কোন অভিযোগও করতে পারছে না শ্রেয়া। এমন দৃশ্য দেখে উপস্থিত সকলের চোখে জল চলে আসে। যে বাবার হাত ধরে শ্রেয়া ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলো সেই স্বপ্ন হয়তো পুরণ হবে না কিন্তু তার বাবা তা জানতে পারবে না। শ্রেয়ার স্বপ্ন ভেঙ্গে দিলো পার্বত্য আঞ্চলিক দলের প্রতিসিংহা।
তার সহপাঠিরা জানান, সকালে তার বাবার হত্যার সংবাদ শুনতে পেয়ে অনেক কান্নাকাটি শুরু করে শ্রেয়া চাকমা। তাকে শান্তনা দিতে আমরা সকলেই তার পাশে দাঁড়ায়। কাকে শান্তনা দিবো কিভাবে শান্তনা দিবো আমরা ভাষা খুজে পায়নি। একটি কোন স্বাভাবিক মৃত্যু নয়। তার বাবাকে দুবৃৃর্ত্তরা হত্যা করেছে এটা শুনেই আমাদের গা শিউরে উঠেছিলো। শ্রেয়া কান্না থামাতে পারছে না। সে বেশ কয়েকবার অজ্ঞান হয়ে যায়। আজ আমাদের কলেজে কোন ক্লাস হয়নি সকলেই শ্রেয়ার বাবার শোকে কাতর ছিলাম।
