সেইসঙ্গে স্বনির্ভর অর্থনীতি গড়ে তোলার ওপরও জোর দিয়েছেন তিনি।
বুধবার প্রধানমন্ত্রীর সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) গভর্নিং বোর্ডের চতুর্থ সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভাশেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের বলেন, “সরকারি ও বেসরকারি বিনিয়োগের মাধ্যমে কর্মসংস্থান বাড়ানোর গুরুত্ব তুলে ধরেন প্রধোনমন্ত্রী। পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়লে শিল্পোন্নয়ন হবে বলে জানান।
“প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নই তার সরকারের মূল লক্ষ্য। সকল অঞ্চলের উন্নয়ন করতে হবে।”
২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করার লক্ষ্যে ‘সমন্বিত উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য’ আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন বর্তমান সরকার ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করার উদ্যোগ নিয়েছে।
সরকার আশা করছে, ২০৩০ সালের মধ্যে এসব অর্থনৈতিক অঞ্চলে এক কোটি মানুষের কর্মসংস্থান হবে; পণ্য রপ্তানি করা যাবে ৪০ বিলিয়ন ডলারের; যা বর্তমান রপ্তানির চেয়েও বেশি।
গত ফেব্রুয়ারি দেশের বিভিন্ন স্থানে নতুন ১০টি অর্থনৈতিক অঞ্চলের উদ্বোধন করেন শেখ হাসিনা।
মঙ্গলবারের সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে অঞ্চলে যে পণ্য ভাল হয়, সে অঞ্চলে সেই ধরনের শিল্প গড়ে তুলতে হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত ও নেপাল (বিবিআইন) এবং বাংলাদেশ, চীন, ভারত ও মিয়ানমার (বিসিআইএম) জোটের কথা তুলে ধরে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্ব দেন বলে ইহসানুল করিম জানান।
তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, কানেকটিভিটি বাড়লে ব্যবসা-বাণিজ্যেরও সম্প্রসারণ হবে।”
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের নির্বাহী চেয়ারম্যান পবন চৌধুরী তার প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমে অগ্রগতির তথ্য সভায় উপস্থাপন করেন।
অন্যদের মধ্যে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বানিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, পরিকল্পনা মন্ত্রী আহম মোস্তফা কামাল, বন ও পরিবেশ মন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর ফজলে কবির, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব আবুল কালাম আজাদ, এফবিসিসিআইয়ের সভাপতি আবদুল মাতলুব আহমাদসহ সংশ্লিষ্ট সচিবরা সভায় উপস্থিত ছিলেন।
