সোমবার রাত ১টা ৩০ মিনিটে নাগপুরের কাছে পুলগাংয়ের ওই অস্ত্রাগারে আগুন লাগে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। আগুনে আরো ১৯ জন দগ্ধ হয়েছেন।
টেলিভিশনে সম্প্রাচরিত ফুটেজে রাতের আকাশে ছড়িয়ে পড়া আগুনের শিখা দেখা গেছে।
ওয়ার্ধা জেলা পুলিশ সুপার সমিতা পাতিল জানিয়েছেন, ১৭ জন মৃত্যুবরণ করেছেন এবং আগুনে পুড়ে ১৯ জন আহত হয়েছেন। তবে আহতদের অবস্থা আশঙ্কাজনক নয় বলে জানিয়েছেন তিনি।
আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি।
ভারতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী মনোহর পারিকর মঙ্গলবার অস্ত্রাগারটি পরিদর্শন করতে যাবেন বলে এক ট্যুইটে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
স্থানীয় সময় সকাল ১১টায় মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী দেবেন্দ্র ফাদনাভিস জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে তাকে জানানো হয়েছে। অস্ত্র বিশেষজ্ঞ ব্রিগেডিয়ার সন্দিপ ভল্ল এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, মারা যাওয়া ১৭ জনের মধ্যে দুজন সেনা কর্মকর্তা রয়েছেন। তারা গুরুত্বপূর্ণ বিস্ফোরকগুলোকে বিস্ফোরিত হওয়া থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন।
আহতদের মধ্যে অস্ত্রাগারটির অধিনায়ক কর্মকর্তাও রয়েছেন বলে জানা গেছে। তবে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
এই অস্ত্রাগারটি ভারতের বৃহত্তম এবং এশিয়ায় দ্বিতীয় বৃহত্তম অস্ত্রাগার বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। ঝুঁকি এড়াতে এর আশপাশের গ্রাম ও শহরগুলোর কয়েক হাজার বাসিন্দাকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
আগুনের সূত্রপাত কীভাবে হয়েছে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এটি দুর্ঘটনা না নাশকতা, তা বের করতে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দিয়েছে সেনাবাহিনী।
নাগপুর দমকল বাহিনীর কর্মকর্তা রমেশ বার্দি ঘটনাস্থল থেকে জানিয়েছেন, ১০টি অগ্নিনির্বাপন গাড়ি সারারাত চেষ্টার পর ভোর সোয়া ৬টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।
