প্রধানমন্ত্রীর উপ-প্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকন জানান, শনিবার বিকালে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন মোদী।
এর আগে সকালে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে বাংলাদেশের সরকারপ্রধানকে ফোন করে বাংলাদেশের পাশে থাকার আশ্বাস দেন বলে জানান তিনি।
সন্ধ্যায় ভারতের রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি এবং ভুটানের প্রধানমন্ত্রী শেরিং তোবগেও শেখ হাসিনাকে ফোন করেন বলে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম জানিয়েছেন।
গুলশানে হামলার নিন্দা জানিয়ে তারা বাংলাদেশের যে কোনো প্রয়োজনে ভারত ও ভুটানের পাশের থাকার আশ্বাস দিয়েছেন বলে জানান তিনি। উপ-প্রস সচিব আশরাফুল বলেন, “ভারত ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকার কথা পুনর্ব্যক্ত করেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, এ ঘটনার তদন্ত থেকে শুরু করে যেকোনো পর্যায়ে সাহায্য করতে ভারত প্রস্তুত রয়েছে।”
“তারা গত রাতের সন্ত্রাসী হামলার তীব্র নিন্দা জানান এবং সরকারের গৃহীত তড়িৎ ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাদেরকে ধন্যবাদ জানান এবং জিম্মি উদ্ধারে সরকারের নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করেন,” বলেন উপ-প্রেস সচিব।
শুক্রবার রাতে গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারিতে হামলা চালায় কয়েক বন্দুকধারী। সে সময় সেখানে আটক পড়েন বেশ কয়েকজন দেশি-বিদেশি।
শনিবার সকালে সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডোরা ছয় জঙ্গিকে হত্যা করে ১৩ জন জিম্মিকে জীবিত উদ্ধার করলেও জঙ্গিদের হাতে প্রাণ হারান ২০ বিদেশি নাগরিক।
ওই ক্যাফেতে জাপানের আটজন নাগরিকও ছিলেন বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে একজনকে গুলিবিদ্ধ ও জখম অবস্থায় উদ্ধার করা গেলেও অন্যদের খোঁজ মিলছে না বলে জাপানের উপ-মুখ্য মন্ত্রিপরিষদ সচিব কোইচি হাগিউদার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে নিহতদের মধ্যে তারাও রয়েছেন।
হলি আর্টিজান বেকারি প্রাঙ্গণে জড়ো করা হচ্ছে লাশগুলো, পর তা সিএমএইচে নেওয়া হয়
এছাড়া তারুশি নামের এক ভারতীয় তরুণীর নিহত হওয়ার খবর টুইটার বার্তায় জানিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজ।
আশরাফুল আলম জানান, জাপান ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীকে শেখ হাসিনা সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেন।
আহত জাপানি নাগরিকের যথাযথ চিকিৎসার বিষয়ে জাপানের প্রধানমন্ত্রীকে আশ্বস্ত করেছেন শেখ হাসিনা।
