এবার ঈদের ছুটি শুরু হয়েছে গত শুক্রবার থেকে। তবে চট্টগ্রাম স্টেশনে এখনো ঘরমুখো মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। রেল কর্মকর্তারা বলছেন, সোমবার থেকে যাত্রীদের ভিড় বাড়বে।
রেল কর্মকর্তারা জানান, রোববার সকাল ৭টায় ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস, ৭টা ২০ মিনিটে ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস, পৌনে ৯টায় সিলেটগামী পাহাড়িকা এবং সাড়ে ১১টায় চাঁদপুরগামী ঈদের স্পেশাল ট্রেন চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে গেছে। এসব ট্রেনে যাত্রীদের তেমন চাপ ছিল না।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মো.মিজানুর রহমান বলেন, শুক্রবার থেকে সরকারি ছুটি শুরু হলেও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান সোমবারও খোলা। ওইদিন বিকেল থেকেই যাত্রীরা চট্টগ্রাম ছাড়তে শুরু করবেন।
তিনি বলেন, লম্বা ছুটি পেলেও ছেলে-মেয়েদের লেখা-পড়া এবং বাসা খালি রেখে যাচ্ছেন না। ফলে স্টেশনে যাত্রীদের চাপ নেই।
চাপ থাকলেও এবার যাত্রী পরিবহনে অতিরিক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, এবার ঈদ স্পেশাল ছাড়াও ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে চালু হয়েছে বিরতিহীন ‘সোনার বাংলা এক্সপ্রেস’। ফলে স্টেশনে প্রচুর পরিমানে টিকেট রয়েছে।
পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ১ জুলাই (শুক্রবার) থেকে ঈদের অগ্রিম টিকেটের যাত্রী পরিবহন শুরু হয়েছে। ওইদিন ২২ জুন, শনিবার (২ জুলাই) ২৩ জুন এবং রোববার ২৪ জুনে অগ্রিম টিকেট নেওয়া যাত্রীরা ভ্রমণ করেছেন। সোমবার ২৫ ও মঙ্গলবার ২৬ জুনে অগ্রিম টিকেট নেওয়া যাত্রী পরিবহন করা হবে।
৯ জোড়া আন্তনগর, ৫ জোড়া মেইল এক্সপ্রেস ও তিন জোড়া স্পেশাল ট্রেনের মাধ্যমে ১৫ থেকে ১৮ হাজার যাত্রী পরিবহন করা হবে বলে জানিয়েছিলেন রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক আব্দুল হাই।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল সূত্রে জানা গেছে, ৯ জোড়া আন্ত:নগর ট্রেনের মধ্যে সুবর্ণ এক্সপ্রেস এ যাত্রীর আসন সংখ্যা ৮৯০, মহানগর প্রভাতিতে ৬৫০, পাহাড়িকায় ৬৫০, চট্টলায় ৭৩০, মহানগর গোধূলীতে ৮৬৫, মেঘনা এক্সপ্রেসে ৭০০, উদয়ন এক্সপ্রেসে ৬৫০ ও তূর্ণা নীশিতায় ৮৩০ সহ মোট ৫ হাজার ৯৬৫ আসন রয়েছে। এছাড়া গত ২৬ জুন থেকে যাত্রী পরিবহন শুরু করছে সোনার বাংলা এক্সপ্রেস। এই ট্রেনে ৭৪৬ জন যাত্রী ভ্রমণ করতে পারবে।
পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, ঢাকাগামী সুবর্ণ এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ৭টা, ময়মনসিংহগামী বিজয় এক্সপ্রেস সকাল ৭টা ২০ মিনিট, সিলেটগামী পাহাড়িকা পৌনে ৯টা, মহানগর এক্সপ্রেস বেলা সাড়ে ১২টা, মহানগর গোধূলী বিকেল ৩টা, সোনার বাংলা এক্সপ্রেস বিকেল ৫টা, চাঁদপুরগামী মেঘনা এক্সপ্রেস বিকেল সোয়া ৫টা, উদয়ন রাত পৌনে ১০টা ও তূর্ণানীশিতা রাত ১১টায় চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাবে। এছাড়া সাগরিকা সকাল সাড়ে ৭টা, চট্টলা এক্সপ্রেস সকাল সোয়া ৮টায় এবং কর্ণফুলী সকাল ১০টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।
