॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ পার্বত্য ভূমি বিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন সংশোধনী আইন-২০১৬ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ার প্রতিবাদে ও বাঙালি নেতা আতিকুর রহমানের মুক্তির দাবিতে পাঁচটি বাঙ্গালী সংগঠনের ডাকে খাগড়াছড়িসহ তিন পার্বত্য জেলায় ৪৮ ঘণ্টা হরতালের প্রথম দিন শান্তিপূর্ণভাবে পালিত হয়েছে। হরতকা পরে সাজেক পর্যটন স্পটে আটকা পড়েছে শতশত পর্যটক।
পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের সংশোধনী-২০১৬ জাতীয় সংসদে পাস করার প্রতিবাদে এবং তা বাতিলের দাবিতে গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা থেকে ২৪ ঘণ্টার হরতাল পালন শুরু করে। শুক্রবার ও শনিবার শেষে আগামী রোববার পার্বত্য তিন জেলায় সকাল সন্ধ্যা হরতাল কর্মসুচী পালন করবে বাঙ্গালী সংগঠনগুলো।
গতকাল ভোর ৬টায় খাগড়াছড়িতে অবস্থিত ভূমি কমিশনের প্রধান কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় টায়ার জ্বালানোর মধ্য দিয়ে হরতালে প্রথম দিন শুরু করে। পরে এখান থেকেই বাঙালি ছাত্র পরিষদ নেতা মাঈন উদ্দিন ও কাউন্সিলর মাসুমের নেতৃত্বে হরতালের সমর্থনে খাগড়াছড়ি পৌর শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়।
অপরদিকে ভোর সাড়ে ৬টায় মুসলিমপাড়া রাস্তার মাথায় টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করে বাঙালি ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক মো. আসাদ উল্ল্যাহর নেতৃত্বে একটি দল। তারা এ সময় হরতালের সমর্থনে স্লোগান দেয়।
হরতালের কারণে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। শহরের কোন দোকানপাট খোলেনি। বিপাকে পড়েছেন শত শত পর্যটক। গুরুত্বপূর্ণ স্পট গুলোতে আইন শৃংখলা বাহিনী ছিল সতর্ক অবস্থানে।
গত ১ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে পার্বত্য চট্টগ্রাম ভূমিবিরোধ নিষ্পত্তি কমিশন আইনের ১৪টি সংশোধনী ভেটিং সাপেক্ষে চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়। পরে ৯ আগস্ট আইনটি অধ্যাদেশ আকারে জারি করা হয় এবং সর্বশেষ ৬ অক্টোবর আইনটি জাতীয় সংসদে পাস করা হয়। সংশোধিত আইনটি বাতিলের দাবিতে তিন পার্বত্য জেলায় এর আগেও মশাল মিছিল, হরতাল ও মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছিল বাঙালি সংগঠনগুলো।
উল্লেখ্য গত রোববার পার্বত্য গণপরিষদের মহাসচিব অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ আলম খান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিবৃতিতে বৃহস্পতিবার ও রোববার ৪৮ ঘণ্টা হরতাল কর্মসুচীর ঘোষণা দেয় পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ, পার্বত্য বাঙালি ছাত্র পরিষদ পার্বত্য গণপরিষদসহ পাঁচটি বাঙালি সংগঠন।
