নুরুল আজিম রনিকে মুক্তি না দিলে হরতাল-অবরোধের মাধ্যমে চট্টগ্রাম বিচ্ছিন্ন করে দেওয়ার মতো কর্মসূচিতে যেতে বাধ্য হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছে মহানগর ছাত্রলীগ।
চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনির বিরুদ্ধে সব ষড়যন্ত্রমূলক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহার পূর্বক নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে ছাত্রলীগের চলমান আন্দোলনের অংশ হিসেবে রোববার বিকেলে শৃঙ্খলিত মিছিল করে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ।
মিছিলটি নগরীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে শুরু হয়ে লালদীঘি প্রদক্ষিণ করে চট্টগ্রাম কারাগারের ফটকে এসে বিক্ষোভ সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এ সময় ছাত্রলীগের নেতারা নিজেদের শেকলে জড়িয়ে নুরুল আজিম রনিকে মুক্ত করার জন্য স্বেচ্ছায় কারাবরণের অঙ্গীকার করেন।
এ সময় বক্তারা বলেন, আজকের দিনে এসে সাধারণ জনগণের কাছে এটা স্পষ্ট যে নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি ষড়যন্ত্রের শিকার। বিএনপি-জামায়াত-শিবিরের দোসররা তার অতিমাত্রায় জনপ্রিয়তা এবং সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডের প্রতি ঈর্ষান্বিত হয়ে তার বিরুদ্ধে এই কূটকৌশলের জাল বুনেছে। সাধারণ মানুষ আজ স্পষ্ট বুঝতে পেরেছে কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে?
চট্টগ্রামের সাধারণ শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে সারা দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলার সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন থেকে এটি স্পষ্ট হয় যে, নুরুল আজিম রনির মুক্তি আজ প্রতিটি গণমানুষের দাবি। সমগ্র বাংলায় নুরুল আজিম রনির মুক্তির দাবিতে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। তাই প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ অনতিবিলম্বে নুরুল আজিম রনিকে নিঃশর্ত মুক্তি দেওয়া হোক। অন্যথায় এই গণজোয়ার যেকোনো সময় গণবিপ্লবে পরিণত হতে পারে।
তারা বলেন, নুরুল আজিম রনির মুক্তির দাবিতে আজ আমরা শেকল পরে রাজপথে নেমে এসেছি। প্রশাসনের কাছে আমাদের অনুরোধ হয় নুরুল আজিম রনিকে এই মিথ্যা ষড়যন্ত্রমূলক গ্রেফতার থেকে মুক্তি দিন অন্যথায় আমাদেরও ঐ কারাগারে নিক্ষেপ করুন।
এ সময় তারা নতুন আন্দোলনের রুপরেখা তুলে ধরে বলেন, অনতিবিলম্বে রনিকে নিঃশর্ত মুক্তি না দিলে হরতাল অবরোধের মতো কর্মসূচির মাধ্যমে বাংলাদেশকে চট্টগ্রাম থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং সাধারণ মানুষ।
নগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমুর সভাপতিত্বে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ নেতা হাবিবুর রহমান তারেক, ইলিয়াছ উদ্দিন, আবদুর রহিম জিল্লু, নগর ছাত্রলীগের সহসভাপতি জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, আ ফ ম সাইফুদ্দিন, আমজাদ হোসেন, নোমান চৌধুরী, নাঈম রনি, শাহীন মোল্লা, সোমেন বড়ুয়া, শাহীন জোবায়ের বাপ্পী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, সুজন বর্মণ, সাংগঠনিক সম্পাদক খোরশেদ আলম মানিক, আমির হামজা, সম্পাদক তপু বড়ুয়া, আকতার হোসেন সৌরভ, মিনহাজুল আবেদীন সানি, আরিফুল ইসলাম।
উপস্থিত ছিলেন নগর ছাত্রলীগের উপ সম্পাদক এমএ হালিম মিথু, শেখ সরফুদ্দিন সৌরভ, এমআর হৃদয়, ফরহাদ আনোয়ার চৌধুরী তপু, কাজী মাহমুদুল হাসান রনি, মিজানুর রহমান মিজান, সহসম্পাদক এহসানুল কবির ববি, নাদিম উদ্দিন, সদস্য আরাফাত রুবেল, আরজু ইসলাম বাবু, ওমর গণি এমইএস বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাজেশ বড়ুয়া, শহিদুল ইসলাম শহিদ, রেজাউল করিম লিটন,তোফায়েল আহমেদ মামুন, সৈয়দ আনিসুর রহমান, সরফুল আনাম জুয়েল, সরকারি সিটি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা রাজীব চৌধুরী, কফিল উদ্দিন, কফিল কর, সাইফুল্লাহ সাইফ, আশিস সরকার,ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রলীগ নেতা বিকাশ দাশ, এমডি আবিদ, ওয়াহিদুল্লাহ চৌধুরী, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদুল করিম, মনির ইসলাম, হাজি মুহাম্মদ মহসিন কলেজ ছাত্রলীগ নেতা মায়মুন উদ্দিন মামুন, সাইফুদ্দিন মানিক, ফখরুজ্জামান আল ফয়সাল, আশেকানে আউলিয়া ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা আমিনুল করিম প্রমুখ।