পার্বত্য জেলা ও প্রত্যন্ত এলাকায় করোনা ও যক্ষ্মা রোগ দূর করতে সম্মিলিতভাবে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। কারণ করোনা ও যক্ষ্মা রোগ দুটোই সংক্রমণ রোগ।
তাই মসজিদে ইমামগণ যদি যক্ষ্মা রোগ ও মাস্ক পড়ার ব্যাপারে মাইকের মাধ্যমে মসজিদ থেকে বলে তাহলে জনসাধারণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধি পেতো। এতে করে যক্ষ্মা ও করোনা রোগ থেকে কিছুটা হলেও মানুষ সংক্রমিত থেকে মুক্ত থাকতো।
তাই যক্ষ্মা রোগ করোনা ভাইরাস নির্মূল করতে সম্মিলিতভাবে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তুলতে হবে।
আজ রবিবার সকালে রাঙ্গামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতি নাটাব রাঙ্গামাটি জেলা শাখার উদ্যোগে যক্ষ্মা রোগ নিয়ন্ত্রণে ইমামদের ভূমিকা শীর্ষক মতবিনিময় সভায় বক্তারা এ অভিমত ব্যক্ত করেন।
নাটাব রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সভাপতি ও দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক এ কে এম মকছুদ আহমেদ এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাঙ্গামাটি ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিতিশ চাকমা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,
বাংলাদেশ জাতীয় যক্ষ্মা নিরোধ সমিতির রাঙ্গামাটি জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক মো: শাহ জাহান মজুমদার, বক্ষব্যধি ক্লিনিকের ভারপ্রাপ্ত কনসালটেন্ট ডা. সুশোভন দেওয়ান।
অনুষ্ঠান উপস্থাপনায় ছিলেন, নাটাবের সদস্য মোসলেম উদ্দিন, ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, নাটাবের প্রোগ্রাম অর্গানাইজার মোহাম্মদ হেলাল।
সভায় বক্তারা আরো বলেন, যক্ষ্মা রোগীর কফ, হাঁচি ও কাশির মাধ্যমে জীবাণু বের হয়ে বাতাসে মিশে শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে তা সুস্থ ব্যক্তির ফুসফুসে প্রবেশ করে এবং সুস্থ্ ব্যক্তিকে আক্রান্ত করে।
তিন সপ্তাহের বেশি কাশি যক্ষ্মার প্রধান লক্ষণ। বর্তমানে প্রত্যেক জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলায় সরকারি স্বাস্থ্য কেন্দ্র, নাটাব যক্ষ্মা কর্মসূচির উপর কাজ করছে।নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে যক্ষ্মার ঔষধ বিনামুল্যে সরবরাহ করা হচ্ছে।
কাজেই তিন সপ্তাহের বেশি কাশি থাকলে যত দ্রুত সম্ভব রোগীকে যক্ষ্মা রোগ সনাক্তের জন্য নিকটস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ জানানো হয়।
বক্তারা আরো বলেন, যক্ষ্মা রোগীদের চিকিৎসা সর্ম্পকে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে সভা, সমাবেশ, সেমিনার, র্যালি এবং রোগীদের সাথে ব্যক্তিগত যোগাযোগ করতে হবে। এর ধারাবাহিকতায় শিক্ষক, আইনজীবী, মুক্তিযোদ্ধা, ইমাম, কার্বারী, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবীদের মধ্যে জনসচেনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে।