ইসলাম শান্তির ধর্ম,এই ধর্মকে কুলষিত করার জন্য যারা উঠে পড়ে লেগেছে তাদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সকল ঈমাম ও ধর্মীয় নেতাদের এগিয়ে আসার আহবান জানিয়েছেন মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। তিনি বলেন, স্বাধীন এই বাংলাদেশে জঙ্গীবাদ কোন ভাবেই কাম্য নয়। যারা এই জঙ্গীবাদ করে এই দেশের স্বাধীনতাকে নসাৎ করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছে তাদের বিরদ্ধেও সোচ্চার হওয়ার আহবান জানান তিনি।
গতকাল রাঙ্গামাটিতে নিরীহ মানুষ হত্যকান্ড, সন্ত্রাস ও জঙ্গী কার্যক্রমের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা মুলক সভায় তিনি এ আহবান জানান।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় রাঙ্গামাটি পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ মোয়াজ্জেম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রাজস্ব তানভীর আজম সিদ্দিকী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আবু শাহেদ চৌধুরী সহ অন্যান্য পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ফিরোজা বেগম চিনু বলেন, বাংলাদেশকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি গোষ্ঠী উঠে পড়ে লেগেছে। তিনি বলেন, তাদের এই হীন স্বার্থ কখনোই সফল হবে না। বাংলাদেশের মানুষ কখনোই জঙ্গীবাদের পক্ষে ছিলো না আর থাকেবেও না। তিনি জঙ্গীবাদকে নির্মুল করতে বাংলাদেশের যে যেখানে আছেন সেই অবস্থান থেকে জঙ্গীবাদ মোকাবেলা করার আহবান জানান।
সভায় রাঙ্গামাটির বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী ও মসজিদগুলোর ইমাম, পুরোহি ও বৌদ্ধ ভিক্ষুগণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় গুরু ও সুশীল সমাজের ব্যক্তিবর্গ বক্তব্য রাখেন।
সরকার ধর্মের নামে মানুষ হত্যাকারীদের ছাড় দিবেনা বলে মন্তব্য করেছেন, তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু। তিনি বলেন, যারা ধর্মের দ্ােহাই দিয়ে ইসলামকে বিক্রিত করছে। সারাদেশে হত্যাজজ্ঞ চালাচ্ছে। তারা দেশের শত্রু। দেশের মানুষের শত্রু। তাদের চিহ্নিত করে আইনের হাতে তুলে দিতে হবে। তাই পার্বত্যাঞ্চলের প্রতিটি ঘরে, পাড়া ও মহল্লায় সন্ত্রাস ও জ্ঙ্গীবাদের বিরুদ্ধে জনসচেতনতা বাড়াতে পাহাড়ি-বাঙালী সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে এগিয়ে আসার আহবান জানান তিনি।
তিন পার্বত্য জেলার সংরক্ষিত মহিলা আসনের সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু আরও বলেন, হত্যাকারীরা কোন ধর্মের মধ্যে পরে তার আমার জানা নেই। কারণ জঙ্গী ও সন্ত্রাস কোন জাতিগোষ্ঠী ও ধর্মের হতে পারেনা। তাদের একটাই পরিচয় তারা খুনি ও নাশকতাকারী। জঙ্গীরা যাতে আর নাশকতা করতে না পারে। তার দিকে প্রশাসনের যেমন নজড়াদারি বাড়াতে হবে, তেমনি প্রতিটি মানুষকে সচেতন হতে হবে। তাছাড়া বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, মন্দির, মসজিদ, বিহারেও জঙ্গী-সন্ত্রাসদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
