শফিক রেহমান আরও ৫ দিনের রিমান্ডে
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যাচেষ্টা মামলায় সাংবাদিক শফিক রেহমানের আরও পাঁচ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টার পরে সিএমএম আদালতে রিমান্ড শুনানি শেষে আদালত এ আদেশ দেন।
প্রথম দফায় পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার শফিক রেহমানকে ঢাকার হাকিম আদালতে হাজির করে আরও সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের সহকারী কমিশনার হাসান আরাফাত।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম মাহমুদুর হাসান পাঁচ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেন।
ডিবি দক্ষিণের উপকমিশনার (ডিসি) মাশরুকুর রহমান খালেদ বলেন, প্রথম দফার রিমান্ডে শফিক রেহমানের কাছে মামলা সংক্রান্ত নতুন কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। এ বিষয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করতে তাকে দ্বিতীয় দফায় এই রিমান্ড চাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৬ এপ্রিল সকালে শফিক রেহমানকে (৮২) তার বাসা থেকে আটক করে ডিবি। পরে তাকে সজীব ওয়াজেদ জয়কে অপহরণ ও হত্যা চেষ্টার মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয়া হয়।
আদালত পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা উপ-পরিদর্শক জালাল আহমেদ জানান, শফিক রেহমানের বাসা থেকে এফবিআইয়ের নথি উদ্ধারের কথা জানিয়ে রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, উনি জয়কে অপহরণ করে হত্যার ষড়যন্ত্র করছিলেন। কোন কোন বিএনপি নেতা ওই ষড়যন্ত্রে জড়িত- তা জানতে তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা প্রয়োজন।
জয় সম্পর্কিত তথ্য পাওয়ার জন্য এক এফবিআই এজেন্টকে ঘুষ দেওয়ার অপরাধে ২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবাসী জাসাস নেতা মোহাম্মদ উল্লাহ মামুনের ছেলে রিজভী আহমেদ সিজারের কারাদণ্ড হয়।
মার্কিন আদালতে প্রসিকিউশনের নথিতে বলা হয়, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ‘অপহরণ, ভয় দেখানো ও ক্ষতি করাই’ ছিল তথ্য সংগ্রহের উদ্দেশ্য। সিজার কিছু তথ্য বাংলাদেশি ‘একজন সাংবাদিককে’ সরবরাহ করেছিলেন এবং বিনিময়ে ‘প্রায় ৩০ হাজার ডলার’ও পেয়েছিলেন বলেও সেখানে উল্লখ করা হয়।
ওই ঘটনাটি নিয়ে ২০১৫ সালের ৩১ মে ঢাকার পল্টন থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করে পুলিশ, যা পরে মামলায় রূপান্তরিত হয়। ওই মামলাতেই গত ১৬ এপ্রিল শফিক রেহমানকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পাঁচ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ।
