সেনাবাহিনীর উদ্যোগে রাঙ্গামাটিতে কনসার্ট ফর সলিডারিটি অনুষ্ঠানে
পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদ চেয়ারম্যান জ্যোতিরিন্দ্র বোধিপ্রিয় লারমা(সন্তু লারমা) বলেছেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম সার্বিকভাবে পিছিয়ে রয়েছে। এ এলাকার জনগোষ্ঠীর ক্রীড়া শিক্ষা ও সংস্কৃতির উন্নয়নে সেনাবাহিনীর যে ভূমিকা রাখছে তা অত্যন্ত প্রশংসনীয়। যা এ অঞ্চলের মানুষকে উৎসাহিত করেছে।
গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর উদ্যোগে রাঙ্গামাটির চিংহ্লা মং মারী স্টেডিয়ামে কনসার্ট ফর সলিডারিটি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সন্তু লারমা এসব কথা বলেন।
সন্তু লারমা বলেন, একটি জনগোষ্ঠীর যে সংস্কৃতি তার অন্যতম বৈশিষ্ট্য হল সংগীত। পার্বত্যাঞ্চলের এ সংগীতের উন্নয়নে ধাপে ধাপে বিকশিত হচ্ছে। তিনি বলেন, সংগীত হতে হবে মানুষের কল্যাণের জন্য। যা বিকশিত হলে মানুষের মধ্যে কোন প্রকার শোষন নিপীড়ন নির্যাতন থাকবে না। তিনি এ লক্ষ্য নিয়ে পার্বত্যাঞ্চলের সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশের মাধ্যমে জাতীয় সংস্কৃতিকে সমৃদ্ধ করার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে সন্তু লারমাসহ অন্যান্য অতিথিরা ১১জন পাহাড়ী সংগীত শিল্পীর গানের অডিও সিডির মোড়ক উন্মোচন করেন। এছাড়া ঘাগড়া মহিলা ফুটবল দল এবং এসএ গেমস-এ অংশ নেয়া ৪জন ক্রীড়াবিদকে সন্মাননা প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে রাখেন, সেনা বাহিনীর রাঙ্গামাটির রিজিয়ন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সানাউল হক এবং রাঙ্গামাটি সদর জোনের ভারপ্রাপ্ত কমান্ডার মেজর নাঈমূল হাসান খাঁন। এসময় রাঙ্গামাটির দুই সাংসদ উষাতন তালুকদার, ফিরোজা বেগম চিনু, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষকেতু চাকমা ও কংজরী চৌধুরী, রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান, চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার।
অনুষ্ঠানে পাহাড়ের গুনী শিল্পী রনজিত দেওয়ানসহ অন্যান্য শিল্পীর সংগীত পরিবেশন করেন। এছাড়া রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়ি স্থানীয় ব্যান্ডদল কর্নসার্টে অংশ নেন। এসময় স্টেডিয়াম ভর্তি দর্শকরা কনসার্ট উপভোগ করেন।
উল্লেখ্য,পার্বত্য চট্টগ্রামের সংগীত শিল্পীদের প্রতিভা অন্বেষন ও মেধাকে আরো গতিশীল করতে সেনা বাহিনী রাঙ্গামাটি সদর জোনের উদ্যোগে এই অডিও সিডি প্রকাশ ও কনসার্ট-এর আয়োজন করে।