১৯৪৫ সালে হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমা হামলার পর এই প্রথম দায়িত্বে থাকা কোন মার্কিন প্রেসিডেন্ট শহরটিতে সফর করছেন।
জি-সেভেন সম্মেলনে যোগ দিতে ওবামা ২৬ মে জাপানে যান। আর এর পরদিনই শুক্রবার তিনি হিরোশিমায় পারমাণবিক বোমায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষদের সঙ্গে কথা বলতে সেখানে গেলেন।
জি-সেভেন সম্মেলনে শেষে হিরোশিমা থেকে ২৫ মাইল দূরের লকুনি মার্কিন মেরিন ঘাঁটিতে যান ওবামা।
এরপর হিরোশিমার পিস মেমোরিয়াল মিউজিয়ামে যান তিনি। টিভি ফুটেজে তাকে সেখানে প্রবেশ করতে দেখা যায়।
জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের সঙ্গে হেঁটে পিস মেমোরিয়াল পার্কে যান ওবামা। নিহতদের স্মরণে অর্পন করেন পুস্পাঞ্জলি। তার সঙ্গে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান আবেও।
যুদ্ধের ৭০ বছর পর আগামী ২৭ মে হিরোশিমায় ওবামার এ সফরকে ‘ঐতিহাসিক’ বলে অভিহিত করেছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে।
এ সফর সম্পর্কে ওবামা বলেছেন, “সবচেয়ে বেদনাদায়ক বিচ্যুতিকেও যে আবার জোড়া লাগানো যায় এ সফর তারই সাক্ষ্য বহন করছে।” তবে পারাণবিক বোমা হামলার জন্য তিনি ক্ষমা চাইবেন না বলেও জানান।
১৯৪৫ সালের ৬ অগাস্ট হিরোশিমায় যুক্তরাষ্ট্রের ছুড়ে দেয়া পারমাণবিক বোমায় ১ লাখ ৪০ হাজার মানুষ মারা যায়। এর তিনদিন পর নাগাশাকিতে আরও একটি পারমাণবিক বোমায় মারা যায় ৭৪ হাজার মানুষ।
হিরোশিমার স্মৃতিসৌধ পরিদর্শন শেষে পারমাণবিক বোমায় আক্রান্তদের উদ্দেশে ওবামার ভাষণ দেওয়ারও কথা রয়েছে।
১৯৪৫ সালের সেই যুদ্ধের পর সাধারন মানুষজনের কাছে যুক্তরাষ্ট্র নীতি তুলে ধরা, জাপানিদের সম্মান জানানোসহ ওবামা তার এ সফরে দুই দেশের বর্তমান মৈত্রী সম্পর্কের বিষয়গুলোও জাপানিদের সামনে তুলে ধরবেন।
