॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ দেশের সর্ববৃহত কৃত্রিম কাপ্তাই হ্রদে কার্প জাতীয় মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি, ডিমওয়ালা মা মাছের ডিম ছাড়ার পরিবেশ নিশ্চিতকরণ এবং হ্রদে অবমুক্তকৃত কার্প জাতীয় মাছের নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আগামী ১২ মে বৃহস্পতিবার মধ্যরাত থেকে পরবর্তী ৩ মাসের জন্য কাপ্তাই হ্রদ হতে সকল প্রকার মৎস্য আহরণ, পরিবহন এবং বাজারজাতকরণের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি হ্রদ হতে সকল প্রকার জাক অপসারনসহ মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে কাপ্তাই হ্রদে নৌ-পুলিশ মোতায়েনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
গতকাল সোমবার (৯ মে) দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে কাপ্তাই হ্রদের মাছ আহরণের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ বিষয়ক এক সভায় এই সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মো. সামশুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন কর্পোরেশনের রাঙ্গামাটি কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক কমান্ডার মাঈনুল ইসলাম, সকারী পুলিশ সুপার মোঃ রেজাউল করিম, নৌ-পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ তাজ উদ্দিন, মৎস্য গবেষনা কেন্দ্র, রাঙ্গামাটি নদী কেন্দ্রের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোঃ আবুল বাশারসহ বিভিন্ন আইন শৃংখলা বাহিনীর সদস্য, মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতি, মৎস্য জীবি সমিতি, সাংবাদিক, চেম্বারের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন ব্যেবসায়ী মহলের প্রতিনিধি গন সভায় উপস্থিত ছিলেন।
সভায় জানানো হয়, মাছ ধরা বন্ধকালীন সময় কাপ্তাই হ্রদের বিভিন্ন স্থানে প্রথমবারের মতো ১৫০ সদস্যের একটি নৌ-পুলিশ দল দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া পুলিশ, সেনাবাহিনী, বিজিবি, আনসার বাহিনীর সদস্যরাও মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে অবৈধ উপায়ে মাছ আহরন বন্ধে কাজ করবেন। জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গন ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার মাধ্যমে অবৈধ মৎস্য শিকারীদের বিরুদ্ধে আইননানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। মাছ ধরা বন্ধ মৌসুমে সার্বিক পরিস্থিতি মনিটরিং করার জন্য রাঙ্গামাটির অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
এছাড়া মাছ ধরা বন্ধকালীন মৌসুমে হ্রদের মাছ আহরনের উপর নির্ভরশীল অতি দরিদ্র জেলেদের মাঝে এবারও বিশেষ ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে খাদ্য সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি কার্প জাতীয় মাছের পোনা অবমুক্তকরনেরও সিদ্ধান্ত গ্রহন করা হয়।
