১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৫তম শাহাদাত বার্ষিকী ১৭ আগস্ট ৬৩ জেলায় সিরিজ বোমা হামলার প্রতিবাদে ও ২১ আগস্ট নৃশংস গ্রেনেড হামলার প্রতিবাদে ও নিহতদের স্মরণে বান্দরবান শহর আওয়ামীলীগের আয়োজনে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
২৯ আগস্ট (শনিবার) বিকালে বান্দরবানের বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় বান্দরবান শহর আওয়ামীলীগের সভাপতি অমল কান্তি দাশের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি।
এসময় বান্দরবান শহর আওয়ামীলীগের নেতা কামাল পাশা এর সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় অন্যান্যদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সহ সভাপতি আবদুর রহিম চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, সাবেক যুগ্ন-সম্পাদক লক্ষীপদ দাশ, সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাম্মেল হক বাহাদুর, ক্য সা প্রু, পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য ফিলিপ ত্রিপুরা, শহর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক সামশুল ইসলাম, জেলা সেচ্ছাসেবকলীগের সভাপতি সাদেক হোসেন চৌধুরী, জেলা যুবলীগের আহবায়ক কেলুমং মারমা, জেলা কৃষকলীগের সভাপতি প্রজ্ঞাসার বড়–য়া পাপন সহ জেলা-উপজেলা ও ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধু কে ছাড়া বাংলাদেশ হবেনা, বঙ্গবন্ধু মানে বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানে বঙ্গবন্ধু। যার জন্ম না হলে আজ বাঙ্গালী জাতি একটি লাল সবুজের পতাকা পেতনা। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ইতিহাসের কলঙ্কময় একটি তারিখে ভোরের আলো ফোটার আগে মুয়াজ্জিনের আযানের ধ্বনির সময় বাঙালি জাতির রাখাল রাজা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সহ স্বপরিবারে হত্যা করা হয়। তিনি আরো বলেন, একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলায় আহত সাবেক রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিনী আইভি রহমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই হামলায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামীলীগকে নেতৃত্বশুন্য করে হত্যার উদ্দেশ্যে বিএনপি-জামায়াত এ বর্বর গ্রেনেড হামলা চালায়। অবিলম্বে হত্যাকান্ডে জড়িত খুনিদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া মধ্য দিয়ে দেশে ফিরিয়ে এনে ফাঁসির রায় কার্যকর করার আহবান জানান।
