২৭ মাস পর মেয়রের চেয়ারে আরিফ

সামিয়ক বরখাস্ত হওয়ার দুই বছর তিন মাস পর উচ্চ আদালতের নির্দেশে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) মেয়রের চেয়ারে বসলেন আরিফুল হক চৌধুরী।

রোববার বেলা সাড়ে ১১টায় তিনি সিটি কর্পোরেশনে গিয়ে পৌঁছলে তাকে ফুল দিয়ে স্বাগত জানান সিসিক কাউন্সিলর ও কর্মকর্তারা।

রোববার দায়িত্ব গ্রহণের পর এক প্রতিক্রিয়ায় আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, দায়িত্ব পালনে আমি সকলের সহযোগিতা চাই। আমি জনগণকে যে প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচিত হয়েছিলাম, তা পূরণে কাজ করতে চাই। বিনা দোষে আমাকে ২৭ মাস জনগণের কাছ থেকে দূরে রাখা হয়েছিল।

দায়িত্ব গ্রহণকালে উপস্থিত ছিলেন, মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ও কেন্দ্রীয় বিএনপির নেতা এমএ হক, কেন্দ্রীয় মুক্তিযোদ্ধা দলের সহ-সভাপতি আবদুর রাজ্জাক, মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমসহ স্থানীয় বিএনপি নেতৃবৃন্দ।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার আসামি হয়ে দুই বছর চারদিন কারাভোগের পর গত ৪ জানুয়ারি সিলেট কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পান বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী।

কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে সাময়িক বরখাস্ত আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন তিনি। উচ্চ আদালতের রায়ে মেয়রের দায়িত্ব ফিরে পান আরিফ। পরে গত ৩০ মার্চ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ সংক্রান্ত চিঠি তার কাছে পৌঁছে।

সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এএমএস কিবরিয়া হত্যা মামলার সম্পূরক অভিযোগপত্রে নাম আসার পর ২০১৫ সালের ৭ জানুয়ারি স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগ এক আদেশে সিসিক মেয়র আরিফকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করে।

এই আদেশের বিরুদ্ধে মেয়র আরিফ রিট পিটিশন দায়ের করলে শুনানি শেষে সাময়িক বরখাস্তের আদেশ গত ১২ মার্চ ছয় মাসের জন্য স্থগিত করেন হাইকোর্ট। পরে এই আদেশের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আপীল করে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বাধীন সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের বেঞ্চ রাষ্ট্রপক্ষের আবেদন খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্টের আদেশ বহাল রাখেন।

উল্লেখ্য, ২০০৫ সালের ২৭ জানুয়ারি হবিগঞ্জের বৈদ্যের বাজারে স্থানীয় আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় দুর্বৃত্তদের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন সাবেক অর্থমন্ত্রী শাহ এ এম এস কিবরিয়া। ওই হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১০ বছর পর তৃতীয় সম্পূরক চার্জশিটে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিসিক মেয়র আরিফুর হক চৌধুরীকে আসামি করা হয়।

২০১৪ সালের ২১ ডিসেম্বর কিবরিয়া হত্যা মামলার চার্জশিট আদালতে গৃহীত হলে ২৮ ডিসেম্বর আদালতে আত্মসমর্পণ করেন তিনি। আদালত মেয়র আরিফুলের জামিন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কারাগারে থাকা অবস্থায় ২০০৪ সালের ২১ জুন সুনামগঞ্জে সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের জনসভায় বোমা হামলার ঘটনার দীর্ঘ প্রায় ১২ বছর পর ২০১৬ সালের শেষ দিকে মেয়র আরিফকে শ্যোন এরেস্ট দেখানো হয়।

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31