সেনাবাহিনীকে প্রযুক্তি ও বাস্তব
জ্ঞানসমৃদ্ধ হতে হবে: রাষ্ট্রপতি
সেনাবাহিনীর কর্মকাণ্ডে প্রযুক্তি ও বাস্তবলব্ধ জ্ঞানের সম্মিলন ঘটানোর উপর জোর দিয়ে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, যুদ্ধক্ষেত্রের জটিল পরিস্থিতিতে নির্ভুল রণকৌশলগত সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতাই সামরিক কমান্ডারদের পেশাগত উৎকর্ষতার পরিচায়ক।
গতকাল রোববার ঢাকা সেনানিবাসে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, বর্তমানে প্রযুক্তিনির্ভর বিশ্বে ঘটনাপ্রবাহ দ্রুত পরিবর্তনশীল ও বহুমাত্রিক। এ কারণে পরিকল্পনা প্রণয়ন ও সিদ্ধান্তগ্রহণ উভয় ক্ষেত্রেই প্রযুক্তিনির্ভর অপারেশনাল অ্যাসেসমেন্ট এর সাথে বাস্তবলব্ধ অভিজ্ঞতা ও জ্ঞানের সম্মিলন ঘটানো জরুরি।
যুদ্ধ ছাড়াও যে কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগে জরুরি পরিস্থিতি মোকাবেলার ক্ষেত্রেও একই নির্দেশনা সমানভাবে প্রযোজ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তথ্য প্রযুক্তি খাতে সেনাবাহিনীকে সরকারের সঙ্গে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক বলেন, অনেক ক্ষেত্রেই সেনাবাহিনী সরকারের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কাজ করছে।
তিনি বলেন, আমি আশা করব, যোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি খাতেও বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর তথ্যপ্রযুক্তি পরিদপ্তর সরকারের তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাথে একত্রে কাজ করবে।
সেনানিবাসে কম্পিউটারাইজড ওয়ার গেইম ও আর্মি ডাটা সেন্টার উদ্বোধন করে রাষ্ট্রপতি বলেন, আমার দৃঢ় বিশ্বাস, এর ফলে সেনাবাহিনীর কমান্ডারদেরা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আরও দক্ষ ও যুগোপযোগী করে গড়ে উঠবেন।
তিনি বলেন, নব-সংযোজিত এই ওয়ার গেইম সেন্টার প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা ছাড়াও ভূমিতে কমান্ড পোস্ট অনুশীলনের সীমাবদ্ধতা মোচন, অনুশীলনের ব্যয়ভার সংকোচন ও অধিকতর বাস্তবধর্মী প্রশিক্ষণের প্রয়োগ ঘটাতে সক্ষম হবে।
সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে সরকারের বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি বলেন, সরকার সশস্ত্র বাহিনীর উন্নয়নে ‘ফোর্সেস গোল ২০৩০’ নির্ধারণ করেছে। আমি মনে করি, ওয়ার সেন্টার ও আর্মি ডাটা সেন্টার ফোর্সেস গোল অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এর আগে রাষ্ট্রপতি সেনানিবাসের আর্মি ডাটা সেন্টারে পৌঁছালে সেনাপ্রধান জেনারেল আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক তাকে স্বাগত জানান।
সেখানে সেনাবাহিনীর তথ্যপ্রযুক্ত পরিদপ্তরের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ ওমর জাহিদ রাষ্ট্রপতিকে ডাটা সেন্টারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানান। পরে রাষ্ট্রপতি ডাটা সেন্টার ঘুরে দেখেন।
কম্পিউটারাইজড ওয়ার গেইম সেন্টারের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রাষ্ট্রপতিকে অবহিত করেন আর্টডকের ভারপ্রাপ্ত জিওসি মেজর জেনারেল জাহাঙ্গীর কবীর তালুকদার।
এছাড়া রাষ্ট্রপতি সেনাসদরের হেলমেট ভবন ও আর্মি মাল্টি পারপাস কমপ্লেক্স ভবন পরিদর্শন করেন।