রাঙ্গামাটির ৪৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন দু মাস
পিছিয়ে ৬ষ্ঠ পর্য়ায়ের অন্তর্ভূক্ত করেছে নির্বাচন কমিশন
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
রাঙ্গামাটির ৪৯টি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন স্থগিত হওয়ার পর পাহাড়ে নির্বাচনী আমেজে ভাটা পড়েছে। নির্বাচন কমিশন ৩য় দফার নির্বাচন পিছিয়ে ৬ষ্ঠ পর্য়ায়ের তফশীলে অর্ন্তভুক্তি করার সিদ্ধাস্ত নেয়ায় এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো প্রার্থী মনোনয়ন দিতে না পারায় নির্বাচনে সবার অংশ গ্রহন নিশ্চিত করতে মঙ্গলবার এ সিদ্ভান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।
পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলো ছাড়া প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ ও বিএনপিসহ অন্যান্য দলের প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দিতে না পারায় রাঙ্গামাটি জেলার ৪৯ টি ইউনিয়ন পরিষদের ৩য় দফার নির্বাচন পিছিয়ে ৬ষ্ঠ পর্য়ায়ের তফশীলে অর্ন্তভ’ক্তি করার সিদ্ধান্ত নিয়ে নির্বাচন কমিশন।
নির্বাচন কমিশনের এই সংক্রান্ত নির্দেশনা মঙ্গলবার দুপুরে রাঙ্গামাটি জেলা নির্বাচন অফিস ও সংশ্লিস্ট রিটানিং অফিসারদের বরাবরে পাঠানো হয়েছে।
আজ রাঙ্গামাটি জেলার ৪৯ টি ইউনিয়নে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন নির্ধারিত ছিলো। দুপুর নাগাদ নির্দেশনার আসার পর নির্বাচনী কার্যক্রম স্থগিত হয়ে যায়।
আগামী ২৩ এপ্রিল তৃতীয় ধাপে যে ৬৮৫ ইউপিতে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন তাতে এ জেলার ৪৯ ইউনিয়ন অন্তর্ভূক্ত ছিল। গত ২৭ মার্চ ছিলো মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিন।
একই ভাবে ৪৯টি ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ৪০৩ জন এবং সাধারণ ওয়ার্ডের সদস্যপদে মোট ১২৮২জন প্রার্থী তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন। মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ের দিন নির্ধারিত ছিলো ২৯ মার্চ।
এসময় পর্যন্ত রাঙ্গামাটির ৪৯টি ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে সতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাহাড়ের তিনটি আঞ্চলিক দল গুলোর সমর্থিত ১২১ জন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ৩১জন, বিএনপি’র মনোনীত ২০জন, জাতীয় পার্টির (এরশাদ) মনোনীত ৫ জন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মনোনীত ৩জনসহ মোট ১৮০জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে তাদের মনোনয়নপত্র জমা দেন।
এ সময়ের মধ্যে রাঙ্গামাটি জেলার ৪৯টি ইউপির মধ্যে ১৮টিতে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি ২৯ টিতে কোন প্রার্থী দিতে পারেনি।
পাহাড়ের স্থানীয় দল গুলোর তৈরি করা ভীতির কারণেই এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ উঠার পর নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্ত নেয়।