॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পুরাতন বছরকে বিদায় ও নতুন বছরকে বরণ করতে বাংলা চৈত্র সংক্রান্তিতে পাহাড়ের আদিবাসীরা মেতেছে বৈসাবী উৎসবে। নতুন সাজে সেজেছে পার্বত্য জনপথ। পাড়া মহল্লায় পড়েছে সাজ সাজ রব। পাহাড়ে চলছে নানা আনন্দ আয়োজন। উৎসবে মেতে উঠেছে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের জনগোষ্ঠী।
উৎসব প্রিয় আদিবাসীরা সারা বছর মেতে থাকেন নানান অনুষ্ঠানে। তবে তার সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় চৈত্র সংক্রান্তির বৈসাবি উৎসব এর মাধ্যমে। বৈসাবীকে কেন্দ্র করে তিনদিন ধরে উৎসব করার কথা থাকলেও তা চলবে সপ্তাহ ধরে। পাড়ায় অতিথি আপ্যায়ন, আদিবাসী মেলা, খেলাধূলা, নদীতে ফুল ভাসানো,বয়স্ক ¯œান আর পানি খেলার মধ্যে দিয়ে চলবে এ উৎসব।
চৈত্র সংক্রান্তির আগের দিনকে বলা হয় ফুল বিজু। উৎসবের প্রথম দিনে চাকমা, ত্রিপুরা ও মারমারা বন থেকে ফুল আর নিমপাতা সংগ্রহ করে সেই ফুল দিয়ে ঘর সাজায় ও মা গঙ্গার উদ্দেশ্যে নদীতে ফুল ভাসায়।
আর চৈত্র সংক্রান্তির দিনকে বলা হয় মুল বিজু। ঘরে ঘরে রান্না হয় ঐতিহ্যবাহী খাবার পাচন। তা দিয়ে দিন ভর চলে অতিথি আপ্যায়ন। উৎসবের তৃতীয় দিনে মারমা সম্প্রদায় উদযাপন করে ঐতিহ্যবাহী পানি খেলা উৎসব। এর মধ্যে দিয়ে শেষ হবে এই বৈসাবী উৎসব।
পার্বত্য এলাকায় আদিবাসীদের বৈসাবি আর বাঙ্গালীদের বাংলা বর্ষবরণ নিয়েই পার্বত্য এলাকা এখন উৎসব মুখর।
বাংলা নববর্ষ উৎসব আর বৈসাবির আনন্দ উচ্ছাস পাহাড়ের আদিবাসীসহ অন্যান্য সম্প্রদায়ের সকল মানুষের মধ্যে বয়ে আনবে সৌহার্দ আর সম্প্রীতি এমন প্রত্যাশা সকলের।