খাগড়াছড়িতে ৩৩টি ইউনিয়নে নির্বাচন
ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার
॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি থেকে ॥
খাগড়াছড়ি জেলার ৮টি উপজেলায় ৩৩টি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ, বিএনপি, জাতীয়পাটি, জাসদ, ইসলামী আন্দোলন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন-১৩৫জন। তন্মধ্যে-আওয়ামীলীগ প্রার্থী হলেন-৩৩জন, বিএনপি-২১জন, জাতীয়পার্টি-১, জাসদ-২, ইসলামী আন্দোলন-২ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী রয়েছেন-৭৬জন। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন-২৯৩জন নারী সদস্য। সাধারন ওয়ার্ডে লড়ছেন-৯৪৭জন, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত-৪জন, সাধারন ওয়ার্ডে নির্বাচিত-২০জন।
৩৩টি ইউনিয়নে সর্বমোট ভোটার হচ্ছে-২লক্ষ ৯৯হাজার ৭০জন। তন্মধ্যে পুরুষ-ভোটার-১লক্ষ ৫১হাজার ৮শ ৭৪জন ও মহিলা ভোটার-১লক্ষ ৪৭হাজার ১শ ৯৬জন ভোটার রয়েছে। মোট
২৯৭টি ওয়ার্ড, ৯৯টি সংরক্ষিত ওয়ার্ড ও ৩০৪টি ভোট কেন্দ্রের সংখ্যা-৩০৪টি।
জেলা নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, চেয়ারম্যান পদে-খাগড়াছড়ি জেলা সদরের ৫টি ইউনিয়নে ২৬জন, পানছড়ি উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে ২৬জন, লক্ষীছড়ি উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে-১১জন, মহালছড়ি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে-১৬জন, মানিকছড়ি উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে ৮জন, দীঘিনালার ৩টি ইউনিয়নে ১৫জন, রামগড় উপজেলার ২টি ইউনিয়নে-৭জন, মাটিরাঙা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২৬জন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা:
খাগড়াছড়ি সদর উপজেলার পাচটি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬জন। তন্মধ্যে সদর ইউনিয়নে-৫জন, গোলাবাড়ী ইউপিতে-৭জন, কমলছড়িইউপি-৬জন, পেরাছড়া ইউপিতে ৩জন ও ভাইবোনছড়া ইউপিতে-৫জন লড়ছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য-৪১জন। সাধারন ওয়ার্ড প্রার্থী-১৪৩জন। চেয়ারম্যান পদে এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী ৫জন, বিএনপি-১ ও জাসদ-১, স্বতন্ত্র-১৯। ৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা-৪২৭২৮জন, পুরুষ-২১৪৯০জন ও মহিলা-২১২৪২জন। মোট ভোট কক্ষ-১৩৫টি। ১নম্বর খাগড়াছড়ি সদর ইউপিতে মোট ভোটার ৬৩২৯জন, পুরুষ-৩১৭৫জন, মহিলা-৩১৫৪ জন, ভোট কক্ষ-২০টি, এ ইউনিয়নে ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন-৭প্রার্থী ও ৯টি সাধারন ওয়ার্ডে প্রার্থী রয়েছে-২৭জন। ২নম্বর কমলছড়ি ইউপিতে ভোটার-৯৪৪৬জন, পুরুষ-৪৮০৩জন, মহিলা-৪৬৪৩জন, ভোট কক্ষ-৩০টি, তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ১১জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে ৩১জন প্রার্থী। ৩নম্বর গোলাবাড়ী ইউপিতে ভোটার-৬৩৫২ জন, পুরুষ-৩১৭৮ জন, ৩১৭৪ জন, ভোট কক্ষ-২২টি।তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ০৮জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে লড়ছেন ৩৭জন প্রার্থী। ৪নম্বর পেরাছড়া ইউপিতে ভোটার-৭৩৮০জন, পুরুষ-৩৬৮২ জন, মহিলা-৩৬৯৮ জন, ভোট কক্ষ-২৪টি। তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ০৯জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে ২১জন। ৫নম্বর ভাইবোনছড়া ইউপি: ভোটার-১৩২২১জন, পুরুষ-৬৬৫২, মহিলা-৬৫৬৯, ভোট কক্ষ-৩৯টি। তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ০৮জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে ২৯জন প্রার্থী।
সদর উপজেলায় আ’লীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা হলেন ১নম্বর সদর ইউপিতে-বর্তমান চেয়ারম্যান আম্যে মারমা, ২নম্বর কমলছড়ি ইউপি-রুতান চৌধুরী, ৩নম্বর গোলাবাড়ী ইউপি-বর্তমান চেয়ারম্যান জ্ঞান রঞ্জন ত্রিপুরা, ৪নম্বর পেরাছড়া ইউপিতে বর্তমান চেয়ারম্যান সঞ্জীব ত্রিপুরা, ৫নম্বর ভাইবোনছড়া ইউপিতে-বনেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। এছাড়া খাগড়াছড়ি সদর ইউনিয়নে বিএনপি প্রার্থী-ক্ষেত্র মোহন রোয়াজা ও ২নং কমলছড়ি ইউপিতে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জাসদ’র মনোনীত প্রার্থী আওউ মারমা (মশাল)। এছাড়া সদর উপজেলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন- সদর ইউপিতে-জুকেশ চাকমা (ঘোড়া), পরিমল চাকমা (মোটর সাইকেল) ও প্রীতিবিন্দু দেওয়ান আনারস। কমলছড়ি ইউপিতে-সন্তোষময় চাকমা (মোটর সাইকেল), সাউপ্রু মারমা (আনারস), সুমন আহম্মেদ (চশমা) ও সূর্য্য বিকাশ চাকমা (ঘোড়া)। গোলাবাড়ী ইউপিতে-আবুল হোসেন (আনারস), জেলা বিএনপির বিদ্রোহীগ্রুপের মো. এরশাদ হোসেন (মোটরসাইকেল),ক্যাউচি মার্মা (চশমা), মংক্রজাই মারমা (অটোরিকশা), দিপংকর ত্রিপুরা (ঘোড়া) ও বিপুল ভূষণ ত্রিপুরা (ঢোল)। পেরাছড়া ইউিপিতে- তপন বিকাশ ত্রিপুরা (মোটর সাইকেল) ও মিল্টন চাকমা (আনারস)। ভাইবোনছড়া ইউপিতে-বর্তমান চেয়ারম্যান কান্তি লাল দেওয়ান (মোটর সাইকেল), সাবেক চেয়ারম্যান আপ্রুশি মারমা (আনারস) ও হেভিওয়েট প্রার্থী বর্তমান ওয়ার্ড মেম্বার পরিমল ত্রিপুরা (চশমা) সহ অপর বাঙালি প্রার্থী দেলোয়ার হোসেন(ঘোড়া)।
পানছড়ি:
উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী ২৬জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য-৫০জন, সাধারন ওয়ার্ড প্রার্থী-১৪০জন, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত-১জন ও সাধারন ওয়ার্ডে ৩জন নির্বাচিত। চেয়ারম্যান পদে-চেংগী ইউপিতে-৭জন, লতিবান ইউপি-৪জন, লোগাং ইউপি-৫জন, পানছড়ি ইউপি-৫জন ও উল্টাছড়ি ইউপি-৫জন। তন্মধ্যে-আওয়ামীলীগ প্রার্থী-৫জন, বিএনপি-২জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১৯জন। ৫টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা- ৪৬২৩৯জন, পুরুষ-২৩৫৯৩, মহিলা-২২৬৪৬। মোট ভোট কক্ষ-১৩৪। ১নম্বর লোগাং ইউপিতে মোট ভোটার ৮৭৯৫জন, পুরুষ-৪৩৯৮জন, মহিলা-৪৩৯৭ জন, ভোট কক্ষ-২৫টি, এ ইউনিয়নে ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন-১০প্রার্থী ও ৯টি সাধারন ওয়ার্ডের মধ্যে ২ ও ৬নং ওয়ার্ডের হিসাব ব্যতিরেকে প্রার্থী রয়েছেন-২৯জন। ২নম্বর চেংগী ইউপিতে মোট ভোটার-৬০১৯, পুরুষ-৩০৩৮জন, মহিলা-২৯৮১জন, ভোট কক্ষ-২০টি। তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ১১জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে ২৭জন প্রার্থী রয়েছেন। ৩নম্বর পানছড়ি ইউপিতে মোট ভোটার-১৬৭০২জন, পুরুষ-৮৮৭৩জন, ৭৮২৯জন, ভোট কক্ষ-৪৩টি।তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ১২জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে লড়ছেন ২৬জন প্রার্থী। ৪নম্বর লতিবান ইউপিতে মোট ভোটার-৬৪৬৫জন, পুরুষ-৩২৮৮জন, মহিলা-৩১৭৭জন, ভোট কক্ষ-২১টি। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ৬জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে ২৬জন। উল্লেখ্য যে, ৩নং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ও ৭নং সাধারন ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হয়েছেন-২জন। ৫নম্বর উল্টাছড়ি ইউপিতে মোট ভোটার-৮২৫৮জন, পুরুষ-৩৯৯৬জন, মহিলা-৪২৬২জন, ভোট কক্ষ-২৫টি। তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ১১জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে ২৮জন প্রার্থী।
চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীরা হলেন- ১নং লোগাং ইউনিয়নে-পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মিলন সাহা । ২ নম্বর চেংগী ইউনিয়নে পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান সাধনচন্দ্র চাকমা, ৩ নম্বর পানছড়ি ইউনিয়নে পানছড়ি উপজেলা যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক নাজির মাহমুদ, ৪ নম্বর লতিবান ইউনিয়নে পানছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক কিরণ ত্রিপুরা, ৫ নম্বর উল্টাছড়ি ইউনিয়নে উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি আহির উদ্দীন। বিএনপি প্রার্থীরা হলেন- ৪নম্বর লতিবান ইউনিয়নের অক্ষয় ত্রিপুরা ও ৫নং উল্টাছড়ি ইউনিয়নে রিপন ত্রিপুরা। স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন-১নম্বর লোগাং ইউপিতে-জগদীশ চাকমা(চশমা), জয়কুমার চাকমা (মোটর সাইকেল), প্রত্যুত্তর চাকমা (অটোরিক্সা) ও মুনিন্দ্র লাল ত্রিপুরা (আনারস), ২নং চেংগী ইউপিতে-উষা কান্তি চাকমা(অটোরিক্সা), কনক বরণ চাকমা (চশমা), কালা চাদ চাকমা (টেবিল ফ্যান), গনেন্দ্র ত্রিপুরা (ঢোল), নব কুমার চাকমা (আনারস), পূর্ণ চন্দ্র চাকমা (ঘোড়া), সাধন চন্দ্র চাকমা (নৌকা), ৩নং পানছড়ি ইউপিতে- আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী মো আফজাল মিয়া (চশমা), কাজরী মারমা (আনারস), প্রিয়ংকর চাকমা (মোটর সাইকেল), সিন্দু কুমার চাকমা (ঘোড়া), ৪নং লতিবান ইউপিতে- বিমলেন্দু চাকমা (চশমা), শান্তি জীবন চাকমা (আনারস), ৫নং উল্টাছড়ি ইউপিতে- বিজয় চাকমা (আনারস), আ’লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী- আবু তাহের (চশমা)।
লক্ষীছড়ি:
উপজেলার তিনটি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী-১১জন। তন্মধ্যে আওয়ামীলীগ প্রার্থী-৩জন, বিএনপি-২জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী-৬জন। চেয়ারম্যান পদে দুল্যাতলী ইউপি-৪জন, লক্ষ্মীছড়ি ইউপি-৩জন ও বর্মাছড়ি ইউপিতে-৪জন লড়ছেন। এছাড়া সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য-২১জন, সাধারন ওয়ার্ড প্রার্থী-৮১জন, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত-০১জন ও সাধারন ওয়ার্ডে-০২জন নির্বাচিত। ৩টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা-১৭৩৪৩জন, পুরুষ-৮৯৩৫, মহিলা-৮৪০৮। মোট ভোট কক্ষ-৫৭টি। তন্মধ্যে ১নম্বর লক্ষীছড়ি ইউপিতে মোট ভোটার ৭৮৫২জন, পুরুষ-৪১৩৬জন, মহিলা-৩৭১৬ জন, ভোট কক্ষ-২১টি, এ ইউনিয়নে ৩টি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন-০৯প্রার্থী ও ৯টি সাধারন ওয়ার্ডের প্রার্থী রয়েছেন-২৭জন। ২নম্বর দুল্যাতলী ইউপিতে মোট ভোটার-৪৯২৬, পুরুষ-২৪৫৬জন, মহিলা-২৪৭০জন, ভোট কক্ষ-১৮টি। তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ০৫জন ও সাধারন ৮টি ওয়ার্ডে ২৭জন প্রার্থী রয়েছেন। এ ইউনিয়নে ৩নং সংরক্ষিত আসন হতে কুসুম তারা চাকমা বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় নির্বাচিত হন। এছাড়া ৭নং সাধারন ওয়ার্ড হতে সাধন রঞ্জন চাকমা ও ৯নং ওয়ার্ড হতে বিমল চাকমা নির্বাচিত হয়েছেন। ৩নম্বর বর্ম্মাছড়ি ইউপিতে মোট ভোটার-৪৫৬৫জন, পুরুষ-২৩৪৩জন, মহিলা-২২২২জন, ভোট কক্ষ-১৮টি।তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ০৬জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে লড়ছেন ২৭জন প্রার্থী।
প্রার্থীরা হলেন- ১নং লক্ষীছড়ি ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী- লেলিন চাকমা (নৌকা) ও বিএনপি প্রার্থী-মো. মকবুল আহমেদ (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন-প্রবীল কুমার চাকমা (আনারস)। ২নম্বর দুল্যাতলী ইউপিতে আওয়ামীলীগ প্রার্থী মো. নুরে আলম (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী-পাইচাউ মারমা (ধানের শীষ) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী উচাইপ্রু মারমা(আনারস), ত্রিলন চাকমা (চশমা)এবং ৩নম্বর বর্মাছড়ি ইউনিয়নে আ’লীগ প্রার্থী নীলবর্ণ চাকমা (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন-পাইসুইখই মারমা, সাথোয়াই চৌধুরী ও হরিমোহন চাকমা।
মহালছড়ি:
উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী-১৬জন। তন্মধ্যে ক্যায়াংঘাট ইউপিতে-৮জন, মহালছড়ি ইউপিতে-৩জন, মাইসছড়ি ইউপিতে-৩জন ও মুবাছড়ি ইউপিতে-২জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী-৪জন, বিএনপি-২জন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী ১০জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য-৪০জন, সাধারন ওয়ার্ড প্রার্থী-১২২জন, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত-০১জন ও সাধারন ওয়ার্ডে-০৪জন নির্বাচিত। ৪টি ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা-২৯৫০০জন, পুরুষ-১৫২৯২, মহিলা-১৪২০৮ । মোট ভোট কক্ষ-৯৪টি। মহালছড়ি সদর ইউনিয়নে মোট ভোটার ১১৫৯৮জন, পুরুষ-৬২০০জন, মহিলা-৫৩৯৮জন, ভোট কক্ষ-৩৩টি, এ ইউনিয়নে সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন-১২প্রার্থী ও ৮টি সাধারন ওয়ার্ডের প্রার্থী রয়েছেন-২৮জন। মুবাছড়ি ইউপিতে মোট ভোটার-৪৭৭৬জন, পুরুষ-২৪২০জন, মহিলা-২৩৫৬জন, ভোট কক্ষ-১৮টি। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ০৬ জন ও সাধারন ৭টি ওয়ার্ডে ২৩ জন প্রার্থী রয়েছেন। ক্যায়াংঘাট ইউপিতে মোট ভোটার-৫৫৫৮জন, পুরুষ-২৮৪৯জন, মহিলা-২৭০৯জন, ভোট কক্ষ ১৮টি।তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ১০জন ও সাধারন ৯টি ওয়ার্ডে লড়ছেন ৩২জন প্রার্থী। মাইসছড়ি ইউপিত মোট ভোটার-৭৫৬৮জন, পুরুষ-৩৮২৩জন, মহিলা-৩৭৪৫জন, ভোট কক্ষ-২৫টি।তিনটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে লড়ছেন ১১জন ও সাধারন ৮টি ওয়ার্ডে লড়ছেন ৩৩জন প্রার্থী।
চেয়ারম্যান পদে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নৌকা প্রতিকের প্রার্থীরা হলেন-ক্যায়াংঘাট ইউপিতে স্বাগতম দেওয়ান মহালছড়ি সদর ইউপিতে-রতন কুমার শীল, মাইসছড়ি ইউপিতে-মো. গিয়াস উদ্দিন ও মুবাছড়ি ইউপিতে-কংজরী চৌধুরী। এদিকে, বিএনপি প্রার্থীরা হচ্ছেন- মহালছড়ি সদর ইউপিতে মো. হোসেন বাবু ও মাইসছড়ি ইউপিতে-মো. জহিরুল হক। অপরদিকে, ক্যায়াংঘাট ইউপিতে-স্বতন্ত্র প্রার্থীরা হলেন-কালায়ন তালুকদার (টেবিল ফ্যান), কিরন চাকমা (চশমা),প্রান্ত চাকমা (মোটর সাইকেল),বিশ্বজিত চাকমা(আনারস), রতন বিকাশ চাকমা (ঢোল), সন্তোষময় চাকমা (অটোরিকশা) ও সুনীল জীবন চাকমা (ঘোড়া)।
মানিকছড়ি উপজেলার চারটি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী-৮জন। তন্মধ্যে বাটনাতলী ইউপিতে-২জন, মানিকছড়ি ইউপি-২জন, যোগ্যাছোলা-৩জন ও তিনটহরী ইউপি-১জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী-৪জন, বিএনপি-৩ ও স্বতন্ত্র-১জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য-৩২জন, সাধারন ওয়ার্ড প্রার্থী-৮১জন, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নির্বাচিত-১জন ও সাধারন ওয়ার্ডে-১০জন নির্বাচিত।
রামগড় উপজেলার ২টি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী-৭জন। তন্মধ্যে- পাতাছড়া ইউপি-৩জন ও রামগড় সদর ইউপিতে-৪জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী-২জন, বিএনপি-২ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী-৩জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য-১৯জন, সাধারন ওয়ার্ড প্রার্থী-৬০জন।
দীঘিনালা উপজেলার ৩টি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী-১৫জন। তন্মধ্যে- বোয়ালখালী ইউপি-৫জন, কবাখালি ইউপি-৪জন, মেরুং ইউপি-৬জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী-৩জন, বিএনপি-২, জাসদ-১, ইসলামী আন্দোলন-১ ও স্বতন্ত্র-৮জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য-৩০জন, সাধারন ওয়ার্ড প্রার্থী-১১০জন।
মাটিরাঙা উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে মোট চেয়ারম্যান প্রার্থী-২৬জন। তন্মধ্যে- বড়নাল ইউপিতে-৪জন, আমতলি ইউপি-৩জন, বেলছড়ি ইউপি-৪জন, গোমতি ইউপি-৩জন, মাটিরাঙা সদর ইউপি-৩জন, তবলছড়ি ইউপি-৪জন, তাইন্দং ইউপি-৫জন। এ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ প্রার্থী-৭জন, বিএনপি-৭জন, ইসলামী আন্দোলন-১, জাতীয় পার্টি-১ ও স্বতন্ত্র-১০জন। সংরক্ষিত ওয়ার্ডে নারী সদস্য-৬০জন, সাধারন ওয়ার্ড প্রার্থী-২১০জন, বিনা প্রতিদ্বন্ধিতায় সাধারন ওয়ার্ডে-০১জন নির্বাচিত।