বান্দরবানে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালিত
॥ রাহুল বড়–য়া ছোটন ॥
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর,স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং বেসরকারী সংস্থা ব্র্যাক এর সহযোগিতায় বান্দরবানে বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। দিবসটি উপলক্ষে সোমবার সকাল ৯টায় সদর উপজেলা স্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে একটি র্যালী বের করা হয়,র্যালিটি বান্দরবান শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পদক্ষিন করে সিভিল সার্জনের অফিসে এসে শেষ হয়। র্যালি উত্তোর আলোচনা সভা সকাল ১০টায় বান্দরবান সিভিল সার্জন অফিসের সভা কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। বান্দরবানের সিভিল সার্জন ড: উদয় শংকর চাকমার সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন,বান্দরবানের পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা।
এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(রাজস্ব) মোঃ হারুন-অর-রশিদ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অর্নিবাণ চাকমা,ডেপুটি সিভিল সার্জন অং শৈ প্রু মারমা,প্রেস ক্লাব সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, ডাঃ উম্মুল বানিন টুম্পা,ব্র্যাক ম্যালিরিয়া নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচী সেক্টর স্পেশালিস্ট মোঃ ফজলুল হক,জেলা ব্রাক প্রতিনিধি মোঃ ওমর ফারুক, ব্রাক বান্দরবান জেলা ব্যবস্থাপক জুয়েল চাকমা ও জয়নাল আবেদীন।
আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বলেন, আজ ২৫ এপ্রিল বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস, সারা বিশ্বের সাথে মিল রেখে বাংলাদেশেও বিশ্ব ম্যালেরিয়া দিবস পালিত হচ্ছে। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় “সুন্দর ভবিষ্যতের জন্য ম্যালেরিয়া শেয় করুন”। বক্তারা বলেন,বান্দরবানে স্বাস্থ্য সেবা পূর্বের তুলনাই বর্তমানে অনেক উন্নত হয়েছে। এখন আর কোন ম্যালেরিয়া রোগীকে বিনা চিকিৎসায় অকালে মৃত্যু বরণ করতে হয় না,দেশের সকল উপজেলা স্বাস্থ্যকেন্দ্রে,নগরস্বাস্থ্যকেন্দ্র বক্ষব্যাধি ক্লিনিক,সকল মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং নিদির্ষ্ট এনজিও ক্লিনিকে ম্যালেরিয়া রোগের চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। বিশেষ অতিথি আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ও জেলা ব্যবস্থাপকরা বলেন,সরকারের স্বাস্থ্য বিষয়ক কর্মসূচী গুলো ব্র্যাক সুশৃংখল ভাবে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে আমরা ম্যালেরিয়া রোগ প্রতিরোধে পার্বত্য চট্টগ্রামের দৃর্গম এলাকায় কীটনাশক যুক্ত মশারী বিতরণ অব্যাহত রেখেছি যার ফলে এই অঞ্চলে ম্যালেরিয়া রোগীর সংখ্যা পুর্বের তুলনায় অনেকটা কমে এসেছে। অনুষ্ঠানের সভাপতি বলেন,ম্যালেরিয়া প্লাজমোডিয়াম প্রজাতির এক প্রকার পরজীবী সংঘটিত সংক্রমক রোগ যা সাধারণত জ্বরের মাধ্যমে প্রকাশ পায়। এনোফিলিস জাতীয় স্ত্রী-মশা ম্যালেরিয়ার লক্ষণ। অনিয়মিত বা কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা ম্যালেরিয়ার লক্ষণ। বক্তারা আরো বলেন,ম্যালেরিয়ার রক্ত পরীক্ষা করে রোগ শনাক্ত হলে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা করতে হবে। অন্যানদের মধ্যে আরো উপস্থিত ছিলেন,মা ও শিশু কল্যাণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা ডাঃ অং সা লু,সিভিল সার্জন অফিসের সিনিয়র স¦াস্থ্য শিক্ষা কর্মকর্তা সা সুই মারমা,সিভিল সার্জন অফিসের সভার সম্নয় কারী বাবু অশেষ বড়–য়া,স্বাস্থ্য বিভাগের র্নাস ও অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারী উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে প্রজক্টেরের ম্যাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবার চিত্র তুলে ধরা হয়। বান্দরবান জেলায় মোট উপজেলার সংখ্যা ০৭ টি,ল্যাবরেটরির সংখ্যা ১৭ টি,স্বাস্থ্য সেবিকার সংখ্যা ৫০৪জন,স্বাস্থ্য কর্মীর সংখ্যা ১২৪ জন। ২০১৩ তেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত ম্যালেরিয়া রোগ নিয়ন্ত্রণে ২লক্স ৪৫ হাজার ৩শত কীটনাশক যুক্ত মশারী বিতরণ করা হয়।