রাঙ্গামাটিতে চাকমা রাজমাতার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন
॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
চাকমা সার্কেলের চীফ রাজা দেবাশীষ রায়ের মাতা রাজমাতা আরতি রায়ের গতকাল মঙ্গলবার রাঙ্গামাটিতে শেষ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে।
রাঙ্গামাটির চাকমা রাজবিহারের পার্শ্বে পারিবারিক শশ্মানে প্রয়াত রাজমাতা আরতি রায়ের অন্ত্যষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়। এর আগে রাজমাতার বিদেহী আতœার সৎগতি ও কামনা করে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা ধর্মদেশনা দেন এব সংঘদানসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান করা হয়। এর পর কিছু রীতিনীতির অনুষ্ঠানিকতা শেষে প্রথমে চাকমা রাজা ব্যারিষ্টার দেবাশীষ রায়,রাণী য়েন য়েন এবং পরিবারের সদস্যরা চিতায় আগুন ধরিয়ে দেন। এর পর অন্ত্যেষ্ঠিক্রিয়া অনুষ্ঠানে অংশ নেয়া গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও প্রজারা রাজমাতার চিতায় আগুন ধরিয়ে দিয়ে চির বিদায় জানান। এ অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠানে বোমাং সার্কেলের চীফ সাচিং প্রু চৌধুরীসহ চাকমা রাজ পরিবারের সদস্যবর্গ, আদিবাসী গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ শত শত নারী-পুরুষ সমবেত হন। এসময় প্রিয় রাজমাতার চির বিদায় ক্ষনে অনেকে চোখের জল রাখতে পারেননি।
উল্লেখ্য রাঙ্গামাটির রাজমাতা আরতি রায় গত সোমবার ভোর ৪ টায় রাঙ্গামাটিতে আনার পথে চট্টগ্রামের সীতাকুন্ড এলাকায় তিনি মারা যান।
সোমবার সকাল ৭ টায় রাজমাতার মরদেহ রাঙ্গামাটিতে আনা হলে প্রথমে তার মরদেহ নেওয়া হয় রাজবন বিহারে। সেখানে ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে নেওয়া হয় রাজবাড়িতে। রাজমাতার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে রাঙ্গামাটিতে। আরতি রায়ের মরদেহ একনজরে দেখতে হাজারো মানুষ ভিড় করছেন রাজবাড়িতে।
বার্ধক্যজনিত রোগে গত ১৪ এপ্রিল রাঙ্গামাটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হলে তার অবস্থার অবনতি হলে গত ১৬ এপ্রিল তাকে ঢাকায় স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আরতি রায়ের স্বামী ৫০ তম চাকমা রাজা ত্রিদিব রায় ২০১২ সালে পাকিস্তানে মৃত্যুবরণ করেন।