লামায় ইউপি নির্বাচনে ৫ টিতে আওয়ামীলীগ
২টিতে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী জয়ী
লামা প্রতিনিধি ঃ
বিছিন্ন ঘটনার মধ্য দিয়ে উৎসব মুখর পরিবেশে লামা উপজেলার ৭ ইউনিয়নে ২৩ অক্টোবর শনিবার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত উপজেলার ৬৪ টি ভোট কেন্দ্রে একটানা ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে উপজেলার ৭ ইউনিয়নের ৫ টিতে আওয়ামীলীগ সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী এবং ২ টিতে বিএনপি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী বিজয়ী হয়েছেন। এদিকে, ভোট চলাকলিন লামা, আজিজনগর ও ফাইতং, রুপসী পাড়া সহ বিভিন্ন ইউনিয়নে বিচ্ছন্ন ঘটনা ঘটেছে। এসকল ঘটনায় আজিজনগরের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী নূরুচ্ছফা মাষ্টারসহ ১৫ জন আহত হওয়ার খবর পাওয় গেছে।
সূত্র জানায়, নির্বাচন উপলক্ষ্যে প্রতিটি ইউনিয়নেই ছিল উৎসব মুখর পরিবেশ। কেন্দ্র গুলো পোষ্টার ও ব্যানারে সাজানো হয়েছিল বর্ণিল সাজে। প্রতিটি কেন্দ্রেই ভোঁর থেকেই ছিল ভোটারদের দীর্ঘ লাইন। পুরুষ ভোটারদের চেয়ে মহিলা ভোটারদের উপস্থিতি ছিল বেশি। একই সাথে দূর্ঘম পাহাড়ী পথ বেয়ে ভোট কেন্দ্র গুলোতে উল্ল্যেখ যোগ্য সংখ্যক উপজাতি ভোটার উপস্থিত হয়েছেন। প্রতিটি কেন্দ্রে নিরাপত্তা ব্যবস্থার পাশাপাশি পুলিশ, বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্স, নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এবং সেনাবাহিনীর টহল ছিল। বড় ধরনের কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও বিভিণœ ইউনিয়নে বিচ্ছিন্ন ঘটনা এবং দু’টি কেন্দ্রে গোলা-গুলির ঘটনা ঘটেছে। এসকল ঘটনায় এক চেয়ারম্যান প্রার্থীসহ ১৫ জন আহত হয়েছে।
রিটার্ণিং অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, উপজেলার ১নং গজালিয়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী বাথোয়াইচিং মার্মা (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১০২ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মংক্যচিং চৌধূরী (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৪৩ ভোট। ২নং লামা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মিন্টু কুমার সেন (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোঃ রবিউল হোসেন ভূঞা (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৩৫১ ভোট। ৩নং ফাঁসিয়াখালী ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোঃ জাকের হোসেন মুজুমদার (নৌকা ) প্রতীক নিয়ে ৫ হাজার ৫৯৯ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধি আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মোঃ খায়রুল বশর (নৌকা)) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ৫ হাজার ৭৮ ভোট। ৪নং আজিজনগর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী মোঃ জসিম উদ্দিন (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৭৫৫ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন । তার নিকটতম প্রতিদন্ধি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী আলহাজ্ব মোঃ নাজেমুল ইসলাম চৌধূরী (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ১৫৩ ভোট। ৫নং সরই ইউনিয়নে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোঃ ফরিদ উল আলম (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে ১ হাজার ৯৬৭ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধি আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরুল আলম (নৌকা) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৪০২ ভোট। ৬নং রুপসী পাড়া ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী ছাচিং প্রু মার্মা (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ২ হাজার ৯৯৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মোঃ রফিকুল ইসলাম (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ১ হাজার ৩০৭ ভোট। ৭ নং ফাইতং ইউনিয়নে আওয়ামীলীগ সমর্থিত প্রার্থী জালাল উদ্দিন (নৌকা) প্রতীক নিয়ে ৩ হাজার ১১৬ ভোট পেয়ে বেসরকারি ভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদন্ধি বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শামসুল আলম (ধানের শীষ) প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন ২ হাজার ১০ ভোট।
নির্বাচনে ৩ জন রিটার্ণিং অফিসার দায়িত্ব পালন করছেন। দায়িত্বপ্রাপ্ত রিটার্ণিং অফিসাররা হলেন- উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা মোঃ শাহী নেওয়াজ (গজালিয়া, লামা এবং সরই ইউপি)। উপজেলা মৎস সম্প্রসারন কর্মকর্তা মোঃ আনোয়ার কামাল (রুপসী পাড়া ও ফাঁসিয়াখালী ইউপি)। উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা কাজী মোঃ শফিকুর রহমান (আজিজনগর ও ফাইতং ইউপি)।