॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥
পুরাতন বছরের গ্লানী ভুলে বাংলা নতুন বছরে সমৃদ্ধ সমাজ গড়ে তুলতে এক হয়ে কাজ করার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাঙ্গামাটির মহিলা সংসদ সদস্য ফিরোজা বেগম চিনু।
বুধবার (৬এপ্রিল) রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের আয়োজনে পার্বত্য চট্টগ্রামের আদিবাসীদের বিজু, সাংগ্রাই, বৈসুক-বৈসাবী ও বাংলা নবর্বষ উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত র্যালী উত্ত্র আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
সংসদ সদস্য ফিরোজা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের সামাজিক উৎসব বিজু-সাংগ্রাই-বৈসু আর বাংলা নববর্ষকে ঘিরে পাহাড়ে এখন উৎসবের আমেজ ছড়িয়ে পড়েছে। পাহাড়ের প্রতিটি পল্লিতে এই উৎসবকে ঘিরে সকল সম্প্রদায়ের মানুষ মেতে উঠেছে আনন্দ উৎসবে। এতে করে মানুষে মানুষে যে ভ্রাতৃত্ববোধের সৃষ্টি হয়েছে তাতে পার্বত্য এলাকা শান্তি সম্প্রীতি ও সৌহার্দ অনেকাংশে বৃদ্দি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনাসভায় অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শহীদ উল্লাহ, পরিষদের সদস্য অংসুইপ্রু চৌধুরী, হাজী মোঃ মুছা মাতব্বর, ত্রিপুরা কল্যান ফাউন্ডেশনের উপদেষ্ঠা সাগরিকা রোয়াজা, পাংখোয়া জনগোষ্টীর প্রতিনিধি লাল চুয়াক লিয়ানা পাংখোয়া।
সকালে রাঙ্গামাটি সরকারী কলেজ প্রাঙ্গণ থেকে পাহাড়ের সকল সম্প্রদায়ের সম্মিলনে এক বর্ণাঢ্য র্যালী বের করা হয়। র্যালীতে নানান রংবেরংয়ের সাজে সজ্জিত হয়ে বিভিন্ন সম্প্রদায়ের নারী পুরুষ অংশ নেয়। র্যালীটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সাংস্কৃতিক ইন্সটিটিউট প্রাঙ্গনে গিয়ে শেষ হয়। র্যালী শেষে আলোচনাসভা ও সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশেত হয়।
সভাপতির বক্ত্যবে রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বৃষ কেতু চাকমা বলেন,
পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মানুষের সামাজিক উৎসব বিজু- সাংগ্রাই-বৈসুক-বিষু-বিহু এবং বাংলা নববর্ষে মানুষ যাতে উৎসবমূখর পরিবেশে পালন করতে পারে সে লক্ষ্যে জেলা পরিষদ পর্যাপ্ত সহায়তা প্রদান করেছে। তিনি বলেন, বৈসাবি আর বৈশাখি উৎসবে মানুষের সম্প্রীতি যাতে আরো সুদৃঢ় হয় সকলকে সে চেষ্ঠা নিতে হবে। অতিতের সকল দুঃখ কষ্ট ভুলে পুরাতন বছরকে বিদায় আর বাংলা নতুন বছরকে আনন্দের সাথে মানুষ যাতে বরণ করতে পারে সে প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন তিনি।
আলোচনাসভা শেষে ক্ষুদ্র নৃ গোষ্ঠীর শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।