সৃতি শক্তি বাড়াতে মহানবী (সা.) ৯টি কাজ করতে বলছেনে, যা সকলরেই জানা দরকার
আমাদরে মধ্যে অনকেইে রয়ছেনে যাদরে কোন কছিু মনে থাকে না। আবার এমন কছিু ব্যক্তি রয়ছে,ে যারা কোন কছিু খুব বশেি দনি মনে রাখতে পারনে না। এমন সমস্যা মূলত র্দূবল স্মৃতশিক্তরি কারণে হয়ে থাক।ে স্মৃতশিক্তি বাড়াতে আমাদরে প্রয়ি নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) ৯টি কাজ করতে বলছেনে। সগেুলো হলো-
১. ইখলাস বা আন্তরকিতাঃ যে কোনো কাজে সফলতা র্অজনরে ভত্তিি হচ্ছে ইখলাস বা আন্তরকিতা। আর ইখলাসরে মূল উপাদান হচ্ছে বশিুদ্ধ নয়িত। নয়িতরে বশিুদ্ধতার গুরুত্ব সর্ম্পকে উস্তাদ খুররাম মুরাদ বলনে,
“উদ্দশ্যে বা নয়িত হল আমাদরে আত্মার মত অথবা বীজরে ভতিরে থাকা প্রাণশক্তরি মত। বশেীরভাগ বীজই দখেতে মোটামুটি একইরকম, কন্তিু লাগানোর পর বীজগুলো যখন চারাগাছ হয়ে বড়েে উঠে আর ফল দওেয়া শুরু করে তখন আসল র্পাথক্যটা পরস্কিার হয়ে যায় আমাদরে কাছ।ে একইভাবে নয়িত যত বশিুদ্ধ হবে আমাদরে কাজরে ফলও তত ভালো হব।ে” এ প্রসঙ্গে আল্লাহ তা’আলা বলনে,
“তাদরেকে এছাড়া কােন নর্দিশে করা হয়নি য,ে তারা খাঁটি মনে একনষ্ঠিভাবে আল্লাহর এবাদত করব,ে নামায কায়মে করবে এবং যাকাত দবে।ে এটাই সঠকি র্ধম।” [সূরা আল-বায়্যনিাহঃ ৫]
তাই আমাদরে নয়িত হতে হবে এমন য,ে আল্লাহ আমাদরে স্মৃতশিক্তি যনেো একমাত্র ইসলামরে কল্যাণরে জন্যই বাড়য়িে দনে।
২. দু’আ ও যকির করাঃ আমরা সকলইে জানি আল্লাহর সাহায্য ছাড়া কোনো কাজইে সফলতা র্অজন করা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদরে উচতি র্সবদা আল্লাহর কাছে দু’আ করা যাতে তনিি আমাদরে স্মৃতশিক্তি বাড়য়িে দনে এবং কল্যাণকর জ্ঞান দান করনে। এক্ষত্রেে আমরা নন্মিোক্ত দু’আটি পাঠ করতে পার,ি
“হে আমার পালনর্কতা, আমার জ্ঞান বৃদ্ধি করুন।” [সূরা ত্বা-হাঃ ১১৪]
তাছাড়া যকির বা আল্লাহর স্মরণও স্মৃতশিক্তি বৃদ্ধতিে সহায়তা কর।ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তা’আলা বলনে,
“ৃযখন ভুলে যান, তখন আপনার পালনর্কতাকে স্মরণ করুনৃ” [সূরা আল-কাহ্ফঃ ২৪]
তাই আমাদরে উচতি যকির, তাসবীহ (সুবহান আল্লাহ), তাহমীদ (আলহামদুলল্লিাহ), তাহলীল (লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ) ও তাকবীর (আল্লাহু আকবার) – এর মাধ্যমে প্রতনিয়িত আল্লাহকে স্মরণ করা।
৩. পাপ থকেে দূরে থাকাঃ প্রতনিয়িত পাপ করে যাওয়ার একটি প্রভাব হচ্ছে র্দুবল স্মৃতশিক্ত।ি পাপরে অন্ধকার ও জ্ঞানরে আলো কখনো একসাথে থাকতে পারে না। ইমাম আশ-শাফ’িঈ (রাহমিাহুল্লাহ) বলনে,
“আমি (আমার শাইখ) ওয়াকীকে আমার খারাপ স্মৃতশিক্তরি ব্যাপারে অভযিোগ করছেলিাম এবং তনিি শখিয়িছেলিনে আমি যনে পাপকাজ থকেে নজিকেে দূরে রাখ।ি তনিি বলনে, আল্লাহর জ্ঞান হলো একটি আলো এবং আল্লাহর আলো কোন পাপচারীকে দান করা হয় না।”
আল-খাতীব আল-জামী'(২/৩৮৭) গ্রন্থে র্বণনা করনে যে ইয়াহইয়া বনি ইয়াহইয়া বলনেঃ
“এক ব্যক্তি মালকি ইবনে আনাসকে প্রশ্ন করছেলিনে, ‘হে আবদ-আল্লাহ, আমার স্মৃতশিক্তকিে শক্তশিালী করে দতিে পারে এমন কোন কছিু কি আছ?ে তনিি বলনে, যদি কোন কছিু স্মৃতকিে শক্তশিালী করতে পারে তা হলো পাপ করা ছড়েে দয়ো।’”
যখন কোনো মানুষ পাপ করে এটা তাকে উদ্বগে ও দুঃখরে দকিে ধাবতি কর।ে সে তার কৃতর্কমরে ব্যাপারে ব্যতব্যিস্ত হয়ে পড়।ে ফলে তার অনুভূতি ভোঁতা হয়ে যায় এবং জ্ঞান র্অজনরে মতো কল্যাণকর ‘আমল থকেে সে দূরে সরে পড়।ে তাই আমাদরে উচতি পাপ থকেে দূরে থাকার জন্য র্সবাত্মক চষ্টো করা।
৪. বভিন্নি উপায়ে চষ্টো করাঃ একটু গভীরভাবে লক্ষ্য করলে আমরা দখেবো য,ে আমাদরে সকলরে মুখস্থ করার পদ্ধতি এক নয়। কারো শুয়ে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কারো আবার হঁেটে হঁেটে পড়লে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়। কউে নীরবে পড়তে ভালোবাস,ে কউেবা আবার আওয়াজ করে পড়।ে কারো ক্ষত্রেে ভোরে তাড়াতাড়ি মুখস্থ হয়, কউেবা আবার গভীর রাতে ভালো মুখস্থ করতে পার।ে তাই আমাদরে প্রত্যকেরে উচতি নজি নজি উপযুক্ত সময় ও পারপর্িাশ্বকি পরবিশে ঠকি করে তার যথাযথ ব্যবহার করা। আর কুর’আন মুখস্থ করার সময় একটি নর্দিষ্টি মুসহাফ (কুর’আনরে আরবি কপ)ি ব্যবহার করা। কারণ বভিন্নি ধরনরে মুসহাফে পৃষ্ঠা ও আয়াতরে বন্যিাস বভিন্নি রকম হয়ে থাক।ে একটি নর্দিষ্টি মুসহাফ নয়িমতি ব্যবহাররে ফলে মস্তষ্কিরে মধ্যে তার একটি ছাপ পড়ে যায় এবং মুখস্থকৃত অংশটি অন্তরে গভীরভাবে গঁেথে যায়।
৫. মুখস্থকৃত বষিয়রে উপর ‘আমল করাঃ আমরা সকলইে এ ব্যাপারে একমত য,ে কোনো একটি বষিয় যতো বশেবিার পড়া হয় তা আমাদরে মস্তষ্কিে ততো দৃঢ়ভাবে জমা হয়। কন্তিু আমাদরে এই ব্যস্ত জীবনে অতো বশেি পড়ার সময় হয়তো অনকেরেই নইে। তবে চাইলইে কন্তিু আমরা এক ঢলিে দু’পাখি মারতে পার।ি আমরা আমাদরে মুখস্থকৃত সূরা কংিবা সূরার অংশ বশিষে সুন্নাহ ও নফল সালাতে তলিাওয়াত করতে পারি এবং দু’আসমূহ পাঠ করতে পারি সালাতরে পর কংিবা অন্য যকেোনো সময়। এতে একদকিে ‘আমল করা হবে আর অন্যদকিে হবে মুখস্থকৃত বষিয়টরি ঝালাইয়রে কাজ। আবার কোনো কছিু শখোর একটি উত্তম উপায় হলো তা অন্যকে শখোনো। আর এজন্য আমাদরেকে একই বষিয় বারবার ও বভিন্নি উৎস থকেে পড়তে হয়। এতে করে ঐ বষিয়টি আমাদরে স্মৃততিে স্থায়ীভাবে গঁেথে যায়।
৬. মস্তষ্কিরে জন্য উপকারী খাদ্য গ্রহণঃ পরমিতি ও সুষম খাদ্য গ্রহণ আমাদরে মস্তষ্কিরে সুস্বাস্থ্যরে জন্য একান্ত আবশ্যক। অতরিক্তি খাদ্য গ্রহণ আমাদরে ঘুম বাড়য়িে দয়ে, যা আমাদরে অলস করে তোল।ে ফলে আমরা জ্ঞার্নাজন থকেে বমিুখ হয়ে পড়।ি তাছাড়া কছিু কছিু খাবার আছে যগেুলো আমাদরে মস্তষ্কিরে জন্য খুবই উপকারী। সম্প্রতি ফ্রান্সরে এক গবষেণায় দখো গয়িছেে যয়তুনরে তলে চাক্ষুস স্মৃতি (ারংঁধষ সবসড়ৎু) ও বাচনকি সাবলীলতা (াবৎনধষ ভষঁবহপু) বৃদ্ধি কর।ে আর যসেব খাদ্যে অধকি পরমিাণে ঙসবমধ-৩ ফ্যাট রয়ছেে সসেব খাদ্য স্মৃতশিক্তি ও মস্তষ্কিরে র্কাযকলাপরে জন্য খুবই উপকারী। স্মৃতশিক্তি বৃদ্ধরি জন্য অনকে ‘আলমি কছিু নর্দিষ্টি খাদ্য গ্রহণরে কথা বলছেনে। ইমাম আয-যুহরি বলনে, “তোমাদরে মধু পান করা উচতি কারণ এটি স্মৃতরি জন্য উপকারী।”
মধুতে রয়ছেে মুক্ত চনিকিোষ যা আমাদরে মস্তষ্কিরে গঠনে গুরুত্বর্পূণ ভূমকিা পালন কর।ে তাছাড়া মধু পান করার সাত মনিটিরে মধ্যইে রক্তে মশিে গয়িে কাজ শুরু করে দয়ে। ইমাম আয-যুহরি আরো বলনে, “যে ব্যক্তি হাদীস মুখস্থ করতে চায় তার উচতি কসিমসি খাওয়া।”
৭. পরমিতি পরমিাণে বশ্রিাম নয়োঃ আমরা যখন ঘুমাই তখন আমাদরে মস্তষ্কি অনকেটা ব্যস্ত অফসিরে মতো কাজ কর।ে এটি তখন সারাদনিরে সংগৃহীত তথ্যসমূহ প্রক্রয়িাজাত কর।ে তাছাড়া ঘুম মস্তষ্কি কোষরে পুর্ণগঠন ও ক্লান্তি দূর করার জন্য খুবই গুরুত্বর্পূণ। অন্যদকিে দুপুরে সামান্য ভাতঘুম আমাদরে মন-মজোজ ও অনুভূতকিে চাঙা রাখ।ে এটি একটি সুন্নাহও বট।ে আর অতরিক্তি ঘুমরে কুফল সর্ম্পকে তো আগইে বলা হয়ছে।ে তাই আমাদরে উচতি রাত জগেে সামাজকি যোগাযোগ মাধ্যমে দাওয়াহ বতিরণ না করে নজিরে মস্তষ্কিকে র্পযাপ্ত বশ্রিাম দওেয়া।
৮. জীবনরে অপ্রয়োজনীয় ব্যাপারসমূহ ত্যাগ করাঃ র্বতমানে আমাদরে মস্তষ্কিরে র্কমক্ষমতা কমে যাওয়া ও জ্ঞান র্অজনে অনীহার একটি অন্যতম কারণ হলো আমরা নজিদেরেকে বভিন্নি অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়য়িে রাখ।ি ফলে কোনো কাজই আমরা গভীর মনোযোগরে সাথে করতে পারি না। মাঝে মাঝে আমাদরে কারো কারো অবস্থা তো এমন হয় য,ে সালাতরে কছিু অংশ আদায় করার পর মনে করতে পারি না ঠকি কতোটুকু সালাত আমরা আদায় করছে।ি আর এমনটি হওয়ার মূল কারণ হচ্ছে নজিদেরেকে আড্ডাবাজ,ি গান-বাজনা শোনা, মুভি দখো, ফইেসবুকংি ইত্যাদি নানা অপ্রয়োজনীয় কাজে জড়য়িে রাখা। তাই আমাদরে উচতি এগুলো থকেে যতোটা সম্ভব দূরে থাকা।
৯. হাল না ছাড়াঃ যে কোনো কাজে সফলতার একটি গুরুত্বর্পূণ উপায় হলো হাল না ছাড়া। যে কোনো কছিু মুখস্থ করার ক্ষত্রেে শুরুটা কছিুটা কষ্টসাধ্য হয়। কন্তিু সময়রে সাথে সাথে আমাদরে মস্তষ্কি সবকছিুর সাথে মানয়িে নয়ে। তাই আমাদরে উচতি শুরুতইে র্ব্যথ হয়ে হাল না ছড়েে দয়িে আল্লাহর উপর তাওয়াক্কুল করে চষ্টো চালয়িে যাওয়া।