৭১ সংবাদ ডটকমের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে মন্ত্রী মোজাম্মেল হক
ব্যাক্তিস্বার্থে নয়, জাতির স্বার্থে
যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি চেয়েছি
ঢাকা অফিস ঃ কিছুদিন আগে আমরা বললাম, “যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হোক।এর বাইরে কোন শাস্তি আমরা মানবো না।সেই কথা বলতে গিয়ে কিছু কথা হয়েছে।প্রশ্ন উঠেছে — রায় দেওয়ার আগে আপনারা বলে ফেললেন।এটাতো একজনের সম্বন্ধে বিরূদ্ধাচরণ করা হলো।এতে সম্মানহানি হয়েছে।এটা সত্য।তারপর আদালত বললেন…।আমি এ বিষয়ে কিছু বলব না।আদালতে বলব।আইনী লড়াই করবো।বিচারিক ব্যাপারে কিছু মন্তব্য করব না।এটুকু বলতে পারি, আদালতের সাথে আমাদের যে কথা ব্যাক্তিগত কারণে নয়।যুদ্ধাপরাধীদের ন্যায়সঙ্গত বিচার পাওয়ার জন্য আমরা একথা বলেছি।তারপরে বাকিটুকু আদালতে বলব।” ২২ এপ্রিল শুক্রবার বিকেলে রাজধানীর ওয়াপদা মিলনায়তনে অনলাইন নিউজ পোর্টাল ‘৭১ সংবাদ ডটকমের’ ১ম বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এমপি উপরোক্ত কথা বলেন।৭১ সংবাদ ডটকমের সম্পাদক এএইএম তারেক চৌধুরীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, লক্ষ্মীপুর -৩ এর সংসদ সদস্য মোঃ শাহজাহান কামাল, সাবেক অতিরিক্ত সচিব মজিবর রহমান,ইঞ্জিনিয়ার আবুল কালাম আজাদ,যুগ্ম সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, মোঃমোফাজ্জল হোসেন, জি,এম, সোনালী ব্যাংক, ফখরুল চৌধুরী,পরিচালক,বিটিসিএল, সুভাষ সাহা, সভাপতি, বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশান(বনপা) ও সম্পাদক,বিষেরবাঁশীডটকম।এ অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক ছিলেন বিজয় বাংলা সফটওয়ারের উদ্ভাবক, তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে কেক কেটে শুভ উদ্বোধন করেন তথ্য প্রযুক্তিবিদ মোস্তাফা জব্বার।দ্বিতীয় পর্বে ৭১ সংবাদ ডটকমের সহযোগি প্রতিষ্ঠান ৭১ বাংলা টিভির(অনলাইন) শুভ উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আকম মোজাম্মেল হক।প্রধান অতিথি আরো বলেন, গত এক সপ্তাহ যাবৎ শফিক রেহমান সাহেব অত্যন্ত বিজ্ঞ লোক।সর্বজন পরিচিত একজন খ্যাতিমান সাংবাদিক নিঃসন্দেহে।সৌখিন মানুষ।তাঁর বাবা আওয়ামী লীগ করতেন।অধ্যক্ষ ছিলেন।বঙ্গবন্ধুর লোক ছিলেন।অত্যন্ত সম্মানী লোক। তাঁর ছেলে যে কাজটা করছেন….।তাঁকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ তাঁর হেফাজত থেকে এফবিআইয়ের গুরুত্বপূর্ণ দলিলপত্র উদ্ধার করেছেন।কিসের দলিলপত্র? আজকের সফল রাষ্ট্রনায়ক দেশরতœ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় যিনি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা তাঁকে অপহরণ করে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছিল।সেই সংক্রান্ত দলিলপত্র….।প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিনাকে ১৯ বার হত্যার চেষ্টা করে ব্যার্থ হয়ে এবার প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়কে হত্যা করে প্রধানমন্ত্রীর মনোবল ভাঙতে চেয়েছিল।২০০৪ সালের ২১ আগষ্ট গ্রেনেড হামলায় অন দা স্পট তৎকালীন রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সহধর্মিণী আইভী রহমানসহ ২৪ জন নিহত হলেন।হাজার হাজার লোক আহত হয়ে অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন।তারপরও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হানিরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে রাষ্ট্র পরিচালনা করছেন।জাতিসংঘের অনেকগুলো পুরুস্কার পেয়েছেন।সজিব ওয়াজেদ জয় অত্যন্ত যোগ্য ছেলে।অন্যের ছেলেরা কী করে আসি সেদিকে যেতে চাই না।দেশ এগিয়ে যাবে।বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। ইনশআল্লাহ জয়কে অপহরন চেষ্টার মামলারও বিচার হবে।কান টানলে মাথা আসবে।অপেক্ষা করুন।ষড়যন্ত্রকারীদের আসল অনেক উঁচু জায়গায়।মানুষকে মেরে তারা রাস্তা পরিষ্কার করতে চায়।তাদের সেই অপচেষ্টা কোনদিন সফল হবে না।