ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে মতবিনিময় সভা

॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ রাঙ্গামাটির ৪৮ টি ইউনিয়নে আগামী ৪ জুন অনুষ্ঠিতব্য ৬ষ্ঠ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনকে সুষ্ঠ ও শান্তিপুর্ণভাবে সম্পন্ন করতে অন্যান্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি সেনাবাহিনীর কাজ জোরদার করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন আহমদ।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, রাঙ্গামাটিতে আগে থেকেই সেনাবাহিনীর কার্যক্রম চলমান রয়েছে। ইউপি নির্বাচনের আগে ও পরে পাহাড়ে অস্ত্রধারীদের গ্রেফতার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
২১ মে শনিবার দুপুরে রাঙ্গামাটিতে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আয়োজিত মত বিনিময় সভায় ও পরে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
সিইসি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার ইউপি নির্বাচনে কেউ যদি আইনের লংঘন করে তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষনিক আইনী ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি নির্বাচনকে সুষ্ঠ করতে উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যথাযথ দায়িত্ব পালনের আহবান জানান।
সিইসি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলার আইন শৃঙ্খলার সাথে জড়িত সকল প্রশাসনকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিযুক্ত করা হয়েছে আরো বেশ কিছু সদস্য অন্যত্র থেকে এখানে এনে সংযুক্ত করার চেষ্ঠা চলছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে প্রতিটি উপজেলাতে এক্সিকিউটিব ম্যাজিষ্ট্রেট এবং জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট দেওয়া হবে জানিয়ে সিইসি বলেন, আইস শৃঙ্খলা বাহিনীর মতো নির্বাচনের দিনসহ তার পরের দিনও তারা দায়িত্ব পালন করবেন।
রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসক মোঃ সামসুল আরেফিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় নির্বাচন কমিশন সচিব সিরাজুল ইসলাম, রাঙ্গামাটি জিবি সেক্টর কমান্ডার কর্নেল এস,এম আনিসুর রহমান, সাবেক পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী দীপংকর তালুকদার সহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাগণ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থীগণ মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
এদিকে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত বিভিন্নদলীয় চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের প্রায় সকলেই অভিন্ন সুরে আসন্ন নির্বাচনে নিজেদের অসহায়ত্বের কথা তুলে ধরে নির্বাচনে সেনাবাহিনীর নেতৃত্বাধীন যৌথবাহিনী নামানোর দাবি জানায়। এছাড়াও সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরাও পার্বত্য চট্টগ্রামের নির্বাচন প্রক্রিয়া সমতল থেকে ভিন্ন এবং সন্ত্রাস নির্ভর বলে মত প্রকাশ করেন। তারা এই ব্যাপারে যৌথবাহিনীর মাধ্যমে সুষ্ঠ পরিবেশ সৃষ্ঠির দাবি জানান। জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিব উদ্দিন জানিয়েছেন, নির্বাচনে নির্বিঘেœ ভোট প্রদানের জন্য করনীয় সবকিছু করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া শুক্রবার রাতে রাঙামাটি সার্কিট হাউজে আয়োজিত বিশেষ বৈঠকে এখানকার অবৈধ অস্ত্রধারী ও সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এ্যাকশনে যাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট্য বাহিনীগুলোকে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে বলেও জানান প্রধান নির্বাচন কমিশনার। নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রে আটটি অস্ত্র রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, নির্বাচনে দায়িত্বপালন করতে আনসার সদস্যদের নিয়োগ দেওয়ার সময় দেখেশুনে দেওয়ার জন্য আনসার কমান্ডারকে নির্দেশ দেন। এছাড়া নির্বাচনের দুইদিন আগে এবং নির্বাচনের পরের দিনও দায়িত্বপালন করবেন, নিয়োগপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও এক্সকিউটিভ ম্যাজিষ্ট্রেটদের ক্ষমতা প্রদান করা আছে তারা ঘটনাস্থলেই দন্ড প্রদান করতে পারবেন। তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আইন ভঙ্গকারী কাউকেই নূণ্যতম ছাড় দেওয়া হবে না। তাদেরকে আমরা অপরাধী বলেও গন্য করবো। এক প্রশ্নের জবাবে কাজী রকিব উদ্দিন জানিয়েছেন, পার্বত্য চট্টগ্রামে সেনাবাহিনী রয়েছে এবং অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীসহ যৌথবাহিনীর অভিযান আরো জোরদার করা হবে। এজন্য তিনি রাঙামাটিবাসী সহযোগিতা কামনা করে অবৈধ অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে নিরাপত্তাবাহিনীকে তথ্য প্রদানের আহবান জানান।
বিভিন্ন রাজনৈতিক দলগুলোর আশঙ্কার ভিত্তিতে সেনা অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে জানতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ষ্পষ্টভাবে সেনা অভিযান পরিচালনার ব্যাপারে মন্তব্য না করলেও শুক্রবার রাতে এই ব্যাপারটি নিয়ে সার্কিট হাউসে সংশ্লিষ্ট্য বাহিনীদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন। অপর এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ভোট কেন্দ্রের ভেতরে সেনাবাহিনী অবস্থানের কোনো নিয়ম নেই। এছাড়াও চলমান অভিযানের মতোই অস্ত্রধারীদের বিরুদ্ধে সেনাবাহিনীর অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এদিকে আজকের মতবিনিময় সভায় বিএনপি আওয়ামীলীগ ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের নেতাদের উপস্থিতি দেখা গেলেও আঞ্চলিক দলগুলোর উপস্থিতি দেখা যায়নি। বিষয়টি নিয়ে সিইসির দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি বলেন, যারা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল তাদেরকে আমরা ডেকেছি এবং তারা এসেছেন।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031