একনেক বৈঠকে ৫৭২৭ কোটি
টাকার ৭ প্রকল্প অনুমোদন
জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) বৈঠকে ৫ হাজার ৭২৭ কোটি ৪০ লাখ টাকা ব্যয়ে মোট সাতটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলন কক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একনেক বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।
এই সাতটি প্রকল্পের মধ্যে ছয়টি নতুন ও একটি সংশোধিত। এসব প্রকল্পের মোট প্রাক্কলিত ব্যয়ের মধ্যে সরকারী অর্থায়ন ২ হাজার ৭৬৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য ২ হাজার ৯৪৮ কোটি ৬ লাখ টাকা এবং সংস্থার নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় হবে ৯ কোটি ৯৯ লাখ টাকা।
বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ সম্মেলনে অনুমোদিত প্রকল্পের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
তিনি জানান, এসব প্রকল্পের মোট ব্যয়ের মধ্যে ২ হাজার ৭৬৯ কোটি ৩৫ লাখ টাকা সরকার দেবে। সংস্থার নিজস্ব তহবিল ৯ কোটি ৯৯ লাখ এবং প্রকল্প সাহায্য পাওয়া যাবে ২ হাজার ৯৪৮ কোটি ৬ লাখ টাকা।
সিলেট বিভাগের পল্লী এলাকায় নির্ভরযোগ্য বিদ্যুৎ সরবরাহের মাধ্যমে দারিদ্র্য বিমোচন এবং উন্নয়নের লক্ষ্যে এক হাজার ৪১৭ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
‘সিলেট বিভাগের পল্লী বিদ্যুতায়ন কার্যক্রম সম্প্রসারণ ও আরইবির সদর দফতরে ভৌত সুবিধাদির উন্নয়ন প্রকল্পে’র আওতায় এই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
বৈঠকে ৩০২ কোটি ২৫ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘প্রো-পুয়র স্লাম ইন্টিগ্রেশন প্রজেক্ট (পিপিএসআইপি)’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রকল্পের আওতায় পৌরসভা ও মহানগর এলাকায় নিন্ম আয়ের মানুষের জীবনমান ও অনানুষ্ঠানিক সেটেলমেন্টের মান উন্নয়ন করা হবে।
একই সঙ্গে ‘মংলা বন্দর থেকে রামপাল পর্যন্ত পশুর চ্যানেল ক্যাপিটাল ড্রেজিং’ প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে একনেক কমিটি। ১৬৬ কোটি টাকা ব্যয়ে বাংলাদেশ-ভারত ফ্রেন্ডশিপ পাওয়ার কোম্পানি লিমিটেডের রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রে নৌ-পথে কয়লা পরিবহনের সুবিধার জন্য প্রকল্পটি বিশেষ অবদান রাখবে।
এটি বাস্তবায়ন হলে মংলা বন্দরের ৯ নম্বর জেটি থেকে উজানে ১৩ কিলোমিটার পর্যন্ত পশুর নদীর পর্যাপ্ত নাব্যতা সৃষ্টি হবে।
এদিকে,দেশের বিভিন্ন এলাকায় ১৭টি আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস নির্মাণের জন্যে ১০৭ কোটি ৬১ লাখ টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া ১২২ কোটি ১০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘বাংলাদেশ স্কাউটিং সম্প্রসারণ ও স্কাউট শতাব্দি ভবন নির্মাণ প্রকল্প’, ‘নদীর ভাঙ্গন থেকে ভোলা জেলার চরফ্যাশন পৌর শহর সংরক্ষণ প্রকল্প (ব্যয় ২০৯ কোটি ৪ লাখ টাকা) এবং ৩ হাজার ৪০০ কোটি ৮০ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সেকেন্ডারি এডুকেশন কোয়ালিটি এন্ড অ্যাকসেস এনহ্যান্সমেন্ট’ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে মন্ত্রী,প্রতিমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিব ও কর্মকর্তারা যোগ দেন।