রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ভাড়া কমানোসহ ঢাকার সকল রুটে বিআরটিসি বাস চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)।
মঙ্গলবার (১৭ মে) বেলা সাড়ে ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশে এ দাবি জানায় দলটি।
রাজধানীকে মানুষের বসবাসের যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলা এবং নগরবাসীর সুবিধার্থে গণপরিবহন বৃদ্ধি ও ভাড়া কমানোর পাশাপাশি আরও বেশ কয়েকটি দাবি জানিয়েছে সিপিবি। সেগুলো হলো- রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটে বাস ভাড়া কিলোমিটার প্রতি কমপক্ষে ৫০ পয়সা হ্রাস করা, গেইট লক, সিটিং সার্ভিসের নামে পরিবহন মালিকদের নৈরাজ্য নিয়ন্ত্রণে আনা, বিআরটিসি বাস সার্ভিসের ইজারা প্রথা বাতিল করা, প্রতি রুটে নারীদের জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক গণপরিবহন চালু ও স্কুল বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করা।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাজধানীর প্রায় ৭৫ শতাংশ মানুষই বাসে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন অফিস-আদালত-হাসপাতাল, স্কুল-কলেজ, কল-কারখানায় যাতায়াতসহ নগরবাসীর প্রধান যানবাহন বাস। তবুও মানুষ পাবলিক পরিবহনের সংকটে ভুগছেন। এর ওপরে নগরবাসীর কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে অতিরিক্ত ভাড়া।
প্রায়ই নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য-দ্রব্যের দাম বাড়ছে। এতে যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিতে আরও বেশি জটিলতায় পড়ছেন নগরবাসী।
বক্তারা বলেন, বর্তমানের চলাচলরত গণপরিবহনের ৪২ সিট থাকলেও মন্ত্রণালয়ে ৩২ সিট উল্লেখ করে ন্যূনতম ২১ যাত্রী হিসেবে বাসের ভাড়া বাড়ানো হচ্ছে। এটা তাদের অস্বচ্ছতা।
দলের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আবু জাফর বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে এ পর্যন্ত ৮ দফা তেলের দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে। আর এ অজুহাতে বৃদ্ধি পাচ্ছে বাসের ভাড়া। তেলের দাম বাড়লেও গ্যাসচালিত বাসের ভাড়াও বেশি নেওয়া হচ্ছে।
সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের অধীনে গণপরিবহনের ভাড়া নির্ধারণ কমিটির সদস্যদের কাজে যথেষ্ট অস্বচ্ছতা রয়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশন (বিআরটিসি) অধিক দুর্নীতিগ্রস্থ হওয়ার কারণে সরকারের লোকসানি খাতে পরিণত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। অথচ বিআরটিসি বাসের চাহিদা থাকা সত্ত্বেও দিন দিন বাসের সংখ্যা বাড়ার পরিবর্তে কমে যাচ্ছে।
সমাবেশ শেষে দলের নেতাকর্মীরা মিছিল নিয়ে সচিবালয় ঘেরাও করতে গেলে পুলিশি বাধার সম্মুখীন হন। পরে সেখানে কিছুক্ষণ অবস্থান করে চলে যান তারা।
সিপিবি’র ঢাকা কমিটির সভাপতি আব্দুল কাদেরের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লাবলু, ঢাকা কমিটির সাধারণ সম্পাদক ডা. সাজিদুল হক, শ্রমিকনেতা জলি তালুকদার প্রমুখ।