চট্টগ্রাম মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের বিশেষ অভিযান
গত ২ মে ২০১৬খ্রিঃ তারিখ গোয়েন্দা বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার জনাব মোঃ মোকতার হোসেন মহোদয়ের নির্দেশনায় এডিসি, ডিবি (উত্তর), জনাব এ.এ.এম হুমায়ুন কবির এর নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক কেশব চক্রবর্ত্তী, এসআই মোঃ রাছিব খাঁন, এসআই লিয়াকত আলী, এসআই মনিরুল ইসলাম, এএসআই মোঃ আজহারুল ইসলাম, এএসআই মোঃ হামিদুল ইসলাম ও সঙ্গীয় ফোর্স’সহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ১৬:৪৫ ঘটিকার সময় বাকলিয়া থানাধীন কালামিয়া বাজার, আব্দুল লতিফ হাটস্থ ওসমানের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে আসামী ১। উজ্জ্বল@হাত কাটা জাহাঙ্গীর (৩৫) ২। ওসমান গণি@ইয়াবা ওসমান’দ্বয়কে গ্রেফতার করা হয়। তাহাদের স্বীকারোক্তি ও দেখানো মতে প্রথমে ওসমানের ঘরে ও পরবর্তীতে কোতোয়ালী থানাধীন জলসা মার্কেটের ঐএ গড়নরষব আবহঁব নামক দোকানে অভিযান চালিয়ে নি¤œলিখিত মালামাল সমূহ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধারকৃত মালামালের তালিকা।
০১। বিভিন্ন ব্রান্ডের চোরাই ল্যাপটপ = ০৮ টি। ২। বিভিন্ন ব্রান্ডের চোরাই মোবাইল ফোন = ১৫ টি। ৩। বিভিন্ন ব্রান্ডের চোরাই ট্যাব = ০২ টি। ৪। চোরাই সিপিইউ = ০১ টি। ৫। চোরাই এলইডি মনিটর = ০১ টি।
তাছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত
১। লোহার কোরাবারী = ০১ টি।
২। হেভী রড কার্টার = ০১ টি।
৩। হেকসো ব্লেড = ০১ টি।
গ্রেফতারকৃত আসামী ঃ
১। উজ্জ্বল @ জাহাঙ্গীর @ হাতকাটা জাহাঙ্গীর (৩৫) ২। ওসমান গনি @ ইয়াবা ওসমান (৩৮)। ক) হাতকাটা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে পূর্বের ০৪ (চার) টি মামলা আছে। তন্মধ্যে ০৩ টি অস্ত্র আইনে ও একটি ডাকাতির প্রস্তুতি মামলা। খ) ওসমান গনির বিরুদ্ধে দঃবিঃ আইনে ০৩ টি মামলা আছে।
পলাতক অন্যান্য সহযোগীঃ
১) মামুন (৩৫), ২) লিটন (৩২), ৩) আমির (২৮), ৪) হোসেন (৩৩), ৫) নাসির (৩৫), ৬) মোঃ রাসেল @ ভাগিনা রাসেল (৩২), ৭) রেদোয়ান চৌধুরী (৩৩) (দোকানদার)।
অপরাধের প্রক্রিয়াঃ
উল্লেখিত আসামীগণ হামকা গ্রুপ নামে চুরি, ছিনতাই দলের সক্রিয় সদস্য। জাহাঙ্গীর @ হাতকাটা জাহাঙ্গীর এই গ্রুপের প্রধান এবং মামুন সেকেন্ড ইন কমান্ড। জাহাঙ্গীর সহযোগীদের কাছে লিডার হিসেবে পরিচিত। জাহাঙ্গীরের বাড়ী নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানায়। সে প্রথমে ঢাকায় এবং পরবর্তীতে ১০/১২ বছর আগে চট্টগ্রামে এসে গ্রুপ গঠন করে চুরি/ছিনতাই শুরু করে। এই গ্রুপের অন্যান্য সহযোগীরা চট্টগ্রাম শহর ও অন্যান্য জায়গায় বাসা/বাড়ী/ইলেকট্রনিক্স দোকানে গ্রীল/সাটার/দরজার তালা কেটে ভিতরে প্রবেশ করে ল্যাপটপ, মোবাইল ইত্যাদি ইলেকট্রনিক সামগ্রী, স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা চুরি করে জাহাঙ্গীরের নিকট জমা করে। জাহাঙ্গীর মালামাল তার সহযোগী দোকানদার’দের কাছে বিক্রয় করে। গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়ের বিরুদ্ধে বাকলিয়া থানায় নিয়মিত মামলা রুজু প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।