পার্বত্য বাসীকে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিন,প্রয়োজনে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করুন

॥ এ,কে,এম মকছুদ আহমেদ ॥ পার্বত্য চট্টগ্রাম বাসীর রক্তের বিনিময়ে অর্র্জিত বিদ্যুৎ দিয়ে দেশবাসী উপকৃত হচ্ছে। অথচ পার্বত্য বাসী বিদ্যুৎ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। রাঙ্গামাটির পার্বত্য জেলার যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ আছে ঐ সব জায়গায় বিদ্যুৎতের প্রয়োজন মাত্র ১১ মেগাওয়ার্ড কিন্তু বর্তমানে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে ৮ মেগাওয়ার্ড । ৩ মেগাওয়ার্ডের জন্য প্রতিদিন লোড সেডিং দিতে হয়। তাও বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের ইচ্ছা মাফিক।
রাঙ্গামাটি সহ বান্দরবান, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জনগনের জন্য যে পরিমানে বিদ্যুৎ পরিমান তা বিনামূল্যে দিতে হবে এবং প্রয়োজনীয় সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই পার্বত্য বাসীর দুঃখ কিছুটা লাঘব হবে। নতুবা নয়।
অন্যদিকে সারাদেশে মাটির নীছে বিদ্যুৎ লাইন বসান হউক এবং যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র উপকেন্দ্র নির্মান করা হবে তা মাটির নীচে নির্মান করা হউক।
১৯৬০ সনে কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মান করার ফলে পার্বত্য লক্ষ লক্ষ একর ফসলী জমি পানির নিচে তলিয়ে গেছে। কয়েক লক্ষ মানুষ ভিটে বাড়ী ছাড়া হয়েছে। এসময় ৪০ হাজার উপজাতীয় অধিবাসী ভারতে উদাস্ত হয়েছে। তারা এযাবতকাল পর্যন্ত ভারতের নাগরিত্ব পায়নি।
যারা পার্বত্য চট্টগ্রামের বান্দরবান, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে পুনবাসিত হয়েছেন তাদের অবস্থা এখন পর্যন্ত অত্যন্ত করুন। নাম মাত্র ক্ষতিপূরণ দেয়া হয়েছিল। ঐ সময়ের পুনবাসিতদের জন্য বরাদ্দকৃত ২৮ হাজার টাকা এখন পর্যন্ত চট্টগ্রামের সরকারী কোষাগারে জমা রয়েছে। যা গত ৫৫ বছরে কয়েক কোটি টাকায় দাঁড়ানোর কথা। কি অবস্থায় উক্ত টাকা গুলো রয়েছে তার কোন হদিশ নেই। এত ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত পার্বত্যবাসী ভোগ করতে পারছেনা। এখনও পার্বত্য চট্টগ্রামের অনেক জায়গা রয়েছে সেখানকার অধিবাসী জানেনা বিদ্যুৎ কি? এখনও আদিমযুগে সববাস করছে।
কিছু কিছু প্রত্যন্ত এলাকায় সোলার ব্যবহার করে বিদ্যুৎতের স্বাদ মিটাচ্ছে।
যেসব জায়গায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে ঐ সব জায়গায় নিয়মিত তো দূরের কথা সপ্তাহের পর সপ্তাহ বিদ্যুৎ পাওয়া যায় না। হঠাৎ আসলেও ২/১ ঘন্টা পর আবার উধাও হয়ে যায়। এ বিদ্যুৎ দেয়ার চাইতে না দেওয়াই ভাল।
এখন পার্বত্যবাসীদের দাবী হচ্ছে তিন পার্বত্য জেলায় যে পরিমান বিদ্যুৎ প্রয়োজন সব বিনামূল্যে দিতে হবে এবং সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে। তাহলেই পার্বত্য বাসীর মনে শান্তি আসবে। সরকারকে এ ব্যাপারে উদার মনোভাব নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে।
পার্বত্য সাংসদের সংসদে বিল আদায়ে উত্থাপন করা দরকার
পার্বত্য চট্টগ্রামে নির্বাচিত যে তিনজন সংসদ সদস্য রয়েছেন তারা মনোনীত মহিলা সংসদ সহ সম্মিলিত ভাবে বিল আদায়ে সংসদে উত্থাপন করা প্রয়োজন বলে পার্বত্য বাসী মনে করেন।
সংসদ সদস্যরা সংসদে জনগনের অভাব অভিযোগ গুলো তুলে ধরতে এগিয়ে আসার ও আহবান জানান হয়েছে।
সরাদেশে বিদ্যুৎ লাইন মাটির নীছে বসানো এবং বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হউক।
বর্তমানে সারাদেশের বিদ্যুৎ লাইন গুলো মাটির উপরে হওয়ার কারনে একদিকে ব্যয়ভার কয়েকশত গুন বেড়ে গেছে এবং সরবরাহ ও ঠিকমত করা যায় না। বিশেষ করে কাপ্তাই বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য লাইন বসাতে হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। তার পরেও ঠিক মত করা যাচ্ছে না। বিদ্যুতের (খাম্বা) খুটি বিদেশ থেকে আমদানি করে আনতে কত বৈদেশিক মুদ্রা অপচয় হয়েছে তার খরচ কেউ রাখে না। তার উপরে রয়েছে বিদ্যুৎ লাইনের সংরক্ষন গাছের ঢাল কাটাতে লাগে লক্ষ লক্ষ টাকা। এত কিছু না করে গ্যাস এবং টেলিফোনের মত বড় বড় পাইপের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা করা হলে হাজার হাজার কোটি টাকা অপচয় থেকে রক্ষা পাবে। মাটির নিচে পাইপ লাইন বসানো হলে ঘুর্নিঝড় অথবা দমকা হাওয়ায় তার ছিড়বেনা, খুটিও উপড়ে পরবেনা ক্ষতিও হবে না। সারা দেশে বিদ্যুৎ সরবরাহও ঠিক থাকবে।
তবে এক্ষেত্রে প্রয়োজন সমন্বয় এবং সম্মিলিত প্রচেষ্টা। বিদ্যুৎ ও জ্বালানী সংক্রান্ত সকল মহলকে আন্তারিকতার সাথে কাজ করতে হবে।
অন্য দিকে আগামীতে যেসব বিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং উপকেন্দ্র নির্মান করা হবে তা মাটির নীছে করা হলে নির্মান ব্যয় অনেক কমে যাবে বলে আশা করা যায়।
বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করতে উপকেন্দ্র নির্মান যত টাকা অপচয় তার হিসাব কেউ দিতে পারবেনা। বিদ্যুৎ বিভাগে নিয়োজিত ঠিকাদারেরা এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা দূর্নীতির মাধ্যমে কত কত টাকা যে উৎপাদন করছে তা ঐ অভাবনীয় ব্যাপার। রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়ে গেছে।
যদি মাটির নীছে বিদ্যুৎ লাইন স্থাপন করা হয় এবং বিদ্যুৎ উপকেন্দ্র নির্মান করা হয় তাহলে হাজার হাজার কোটি টাকা সাশ্রয় হবে এবং দূর্নীতির থেকে রক্ষা পাবে। জনগনের কষ্টার্জিত টাকা অপচয় হবে না।
বর্তমানে সরকার বেতন ১০০% বাড়িয়ে দিলেও দূর্নীতি কমবে না বরংচ বেড়ে যাবে না।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123456
78910111213
14151617181920
21222324252627
28293031