বান্দরবানবাসী প্রধানমন্ত্রীর নিকট কৃতজ্ঞতার পাশে আবদ্ধ
॥ সেলিম আহমেদ চৌধুরী ,বান্দরবান ॥
সকল জল্পনা কল্পনার অবসান ঘটিয়ে ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রাম কম্পেøক্সের নান্দনিক ভবনের ভিত্তিফলক উন্মোচন করবেন গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। অনুষ্টানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকবেন ্ঐতিহাসিক শান্তিচুক্তির বাস্তবায়ন পরিবিক্ষন কমিটির আহবায়ক ও জাতীয় সংসদের উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী,গৃহায়ন ও গনপুর্ত মন্ত্রী ইনজিনিয়ার মোর্শারফ হোসেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান জৌতিরিন্দ্র বৌদিপ্রীয় লারমা ওরফে সন্তু লারমা, এবং পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয় সংক্রান্ত স্থায়ী কমিটির সভাপতি র আ ম ওবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী। অনুষ্টানে সভাপতিত্ব করবেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। এই কপ্লেক্সটি নির্মানের ফলে পার্বত্র চট্টগ্রাম মানুসের সাতে সমতলের মানুষের পারস্পরিক সেতু বন্ধন রচিতহবে। সংবাদটি পত্রিকার পাতায় প্রকাশিত হওয়ার পর বিশেষ করে বান্দরবানের আপামর জনসাধারন,বিভিন্ন পেশার লোকজনের মাঝে এই বিষয় নিয়ে সর্বত্র আলোচনার ঝড়বইছে। তবে সাধারন মানুষ থেকে নিয়ে সকল পেশার জনগনের একটিই কথা ইহা সম্ভব হয়েছে একমাত্র বান্দরবানের সাংসদ বীর বাহাদুরের বদান্যতায়। তার কারন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যখন বান্দরবানের রাজার মাঠে হাজার হাজার জনতার সামনে বীর বাহাদুরের হাতধরে বলেছিলেন বীর বাহাদুর আমার সন্তান তাকে আমি আপনাদের হাতে তুলে দিলাম, তাকে আপনারা দেখবেন। এরপর বান্দরবান বাসীও অকৃতজ্ঞ নয় ১৯৯১ সালের পর থেকে ৫মবারের মতন সংসদ সদস্য নির্বাচিত করেছে বান্দরবানের জনগন। সেকারনে খুব সম্ভবতঃ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীও পার্বত্য চট্টগ্রাম বাসীর হৃদয়ের কোনায় আজিবনের জন্য একটু স্থান করে নিলেন। মুলতঃ পার্বত্য বান্দরবানে জাতীয় রাজনীতি শুরুহয় ১৯৯১ সাল থেকে। বীর বাহাদুর ছিলেন তখন একজন ফুটবল খেলোয়ার মাত্র। সে
আমলে আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার মতন তেমন কোন যোগ্য প্রার্থী পাওয়া যাচ্ছিলনা। তৎকালিন বান্দরবানের আওয়ামীলীগের কয়েকজন কান্ডারী,মরহুম মাহবুবর রহমান,মরহুম শামসুল ইসলাম, মরহুম মখলেচুর রমানের মতন কয়েকজন আওয়ামীলীগ নেতা ফুটবলের মাঠ থেকে বীর বাহাদুরকে ধরে নিয়ে সোজা আওয়ামীলীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দিলেন। তখন থেকে বরি বাহাদুর বান্দরবান বাসীর অন্তরে যে আসন করে নিয়েছেন তা আজও অক্ষুন্ন রয়েছে। আশা করা যায় বীর বাহাদুরকে হঠানোর মতন ক্ষমতা আর কারো কোন দিন হবেনা। প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুরের প্রচেষ্টার কারনে আজ সমগ্র পার্বত্য চট্টগ্রামে শান্তীর সু-বাতাস বইছে। যারা কখনো পার্বত্য চট্টগ্রামে জো¯œার আলো দেখেনি তারা আজ সার্বক্ষনিক পার্বত্য চট্টগ্রামে বিচরন করছে নির্বিধায়। ঢাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের নান্দনিক ভবন নির্মানের ফলে আরো একদাফ এগিয়ে গেলেন সমতল এবং পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগনের সেতুবন্ধন। দৈনিক গিরিদর্পনের সকল কলা কুশলী,পাঠক, সহ সকলের পক্ষ থেকে অভিনন্দন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও পার্বত্য প্রতিমন্ত্রীকে।