এ সংখ্যা বাজারে থাকা মোট সিমের ৭৬ শতাংশের বেশি বলে জানান তিনি।
বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধনের অগ্রগতি নিয়ে রোববার ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগে এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী এসব তথ্য জানান।
জ্যেষ্ঠ নাগরিকদের আঙুলের ছাপ না মেলাসহ সিম নিবন্ধনে এনআইডি সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যার জন্য জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগে (এনআইডি) ১৬১০৩ নম্বরে ফোন করার পরামর্শ দেন তারানা হালিম।
তিনি বলেন, ওই সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি সেখান থেকে সবচেয়ে কাছের নিবন্ধন সেন্টারের ঠিকানাও জানিয়ে দেওয়া হবে।
আগামী ৩১ মে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এই নম্বরে ফোন করে সেবা পাওয়া যাবে বলে জানান প্রতিমন্ত্রী।
শনিবার নাগাদ ১০ কোটি ৯ লাখের বেশি বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পুনঃনিবন্ধিত হওয়ার তথ্য জানান তিনি।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিটিআরসির হিসাবে গত এপ্রিলের শেষ নাগাদ দেশে সচল মোবাইল সিমের সংখ্যা ১৩ কোটি ১৯ লাখ ৪৯ হাজার।
গত ১৬ ডিসেম্বর বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে নিবন্ধন চালু হওয়ার পর আঙুলের ছাপ না দিয়ে নতুন সিম কেনা যাচ্ছে না। পাশাপাশি চলছে পুরনো সিমের পুনঃনিবন্ধন।
৩০ এপ্রিল পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হলেও পরে তা বাড়ানো হয়।
নতুন সময়সীমা অনুযায়ী, আগামী ৩১ মে রাত ১২টা পর্যন্ত এ পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করা যাবে।
১০ কোটির বেশি সিম নিবন্ধিত হওয়ায় সন্তুষ্টি প্রকাশ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, “জনগণের স্বার্থে নিবন্ধনের সময় বৃদ্ধি করা হয়েছিল, আর বৃদ্ধি করা হবে না। ৩১ মের পর অনিন্ধিত সিমগুলো বন্ধ করে দেওয়া হবে, যা দুই মাসের আগে কেউ চালু করতে পারবেন না।”
একটি এনআইডির বিপরীতে গ্রাহকের কয়টি সিম রয়েছে তা জানানোর প্রক্রিয়া শুরু হবে জানিয়ে তিনি বলেন, আগামী জুনের শেষ বা জুলাইয়ের শুরুতে গ্রাহকদের এসএমএস করে জানিয়ে দেওয়া হবে কার কয়টি সিম রয়েছে। কোনো গ্রাহক যদি মনে করেন তার নামে নিবন্ধিত সিম বন্ধ করে দিবেন সে প্রক্রিয়াতেও তিনি যেতে পারবেন।
সময় পেরোনোর পর অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হলে রাজস্ব ক্ষতির শঙ্কা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তারানা হালিম বলেন, “আমাদের ডেটা ব্যবহার বাড়ছে, নম্বর ঠিক রেখে অপারেটর বদল বা এমএনপি চালু হবে এবং ফোরজি নিলাম অনুষ্ঠিত হবে- এভাবে ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে।”
এ সময় বিটিআরসির ভাইস চেয়ারম্যান আহসান হাবিব খান, মোবাইল ফোন অপারটেরগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
