॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা, খাগড়াছড়ি ॥ পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়িতে বিদ্যুতের ভয়াবহ লোডশেডিংয়ে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে প্রায় ৪৫ হাজার গ্রাহক। সপ্তাহে দুইদিন সাটডাউনের।
জেলা শহরের আংশিক এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হলেও তা আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিল। হিসেবে করলে সপ্তাহে গড়ে চারদিন বিদ্যুৎবিহীন থাকে পুরো জেলা। এতো কিছুর পরেও নীরব ভূমিকা পালন করছেন সংশ্লিষ্ট দপ্তরসহ স্থানীয় প্রশাসন।
ভয়াবহ লোডশেডিং এবং টানা ২ থেকে ৩ দিন বিদ্যুৎ না থাকায় সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছে জেলার কর্মজীবী, শিক্ষার্থী, গৃহিনী ও ব্যবসায়ীরা। খাগড়াছড়ি জেলার অধিকাংশ এলাকা উচু হওয়ায় বৈদ্যুতিক পানির পাম্প ব্যবহার করে পানি তুলতে হয়ে ঘরের ও ব্যবসায়ীক কাজকর্মের জন্য। কিন্তু বিদ্যুৎ না থাকায় পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় রান্না-বান্নার কাজ করা যাচ্ছে না। ফ্রিজে রক্ষিত খাদ্য সামগ্রী পঁচে যাচ্ছে। হাসপাতালগুলোতেও চিকিৎসা সেবা ব্যাহত হচ্ছে। বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের কারণে শহরে ব্যাটারি চালিত অটোরিকশাগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জনদুর্ভোগ চরমে উঠেছে।
খাগড়াছড়ির জেলার সব বিদ্যুৎ না থাকার কারণে বাড়িতে এবং হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। পানীয় জলের ব্যবস্থা করতে হচ্ছে দোকান থেকে। আর এতোদিন বিদ্যুতের লোডশেডিং এর কারণে আইপিএস ব্যবহার করছেন। কিন্তু ইদানিং লো ভোল্টেজ ও টানা সাটডাউনে এসবও আর কাজ করছেনা।
জেলার উচ্চ শ্রেণির লোকজন জেনারেটর, আইপিএস বা সোলার ব্যবহার করে কাজকর্ম করলেও বিপাকে পড়েছেন খেটে খাওয়া লোকজন। শহরতলীর যাতায়াত ব্যবস্থা ব্যাটারি চালিত টমটম গাড়ির উপর অনেকটা নিভরশীল। আর টানা সাটডাউনের ফলে ব্যাটারি চার্জ করতে না পারায় বেকার হয়ে পড়েছে এখাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্টরা।
এ বিষয়ে জানতে খাগড়াছড়ি বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফরের সাথে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করার পর পাওয়া যায়।
জেলার বিদ্যুৎ বিতরণ বিভাগ সূত্র জানায়, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আবু জাফর বলেন।খাগড়াছড়িতে মোট গ্রাহক সংখ্যা হলো ৪৫ হাজার।আমার মোট ১২টি উপজেলা আছে।হাটাজারী থেকে খাগড়াছড়ি দীর্ঘ ৮৫ কিলোমিটার লাইন বাংলাদেশে কোন জেলায় নাই। আজ থেকে ৩৫ বছর আগে ৩৩ কেবি লাইন খাগড়াছড়ি জেলা সহ রাঙ্গামাটির তিনটি উপজেলা এই লাইন দিয়ে নির্ভরশীল।এই তার গুলি পুরানো হওয়ায় লো ভোল্টেজের কারণ,সেই জন্য আমি সপ্তাহ দুদিন বিদ্যুৎ বিতরণ বন্ধ করে নতুন তার পরিবর্তন লাগাচ্ছি।সে জন্য সপ্তাহ দুদিন বিদ্যুৎ বন্ধ করে কাজ করতে হয়। প্রকৃতির কারণে কোন হঠাৎ বৃষ্টির পর থেকে পুনরায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।কোন জায়গায় সমস্যা হয়েছে সেটা খুজতে পাহাড়ে পাহাড়ে খুজে বেড় করে কাজ শেষে বিদ্যুৎ সরবরাহ করতে পারি।