॥ নিজস্ব প্রতিবেদক ॥ কাঠ পাচারকে কেন্দ্র করে কাপ্তাই রাইখালী ইউনিয়নে বিজিবির ধাওয়ায় কাঠ পাচারকারীদের গাড়ী উল্টে ২জন নিহত হয়েছে। নিহতরা হলেন, সাদ্দাম হোসেন (৩৫) ও জাবেদ (৩৪)। এতে আহত হয়েছে ১০জন। এসময় উত্তেজিত জনতা ঢংছড়ি ক্যাম্পের গোল ঘর এবং চেক পোষ্টে আগুন ধরিয়ে দেয়। বৃস্পতিবার রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
চন্দ্রঘোণা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আনোয়ার জানান, কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে ওয়াগ্গাছড়া জোন তথা ১৯ বিজিবির ঢংছড়ি চেক পোষ্টে চাঁদের গাড়ি ভর্তি চোরাই কাঠ পাচার করতে গিয়ে বিজিবির ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় গাড়ি উল্টে গিয়ে গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে ১জন নিহত হয়। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে আরেকজন মারা যায়। নিহতরা হলেন, সাদ্দাম হোসেন (৩৫) ও মোঃ জাবেদ (৩৪)। নিহত চাঁদের গাড়ী চালক মোঃ জাবেদের লাশ সকালে দাফন করা হলেও গাড়ীর নিহত আরেক হেলফার সাদ্দাম হোসনের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙ্গামাটি হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় জুয়েল নামে ১ জনকে আটক করা হয়েছে।
চন্দ্রঘোণা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জহুরুল আনোয়ার আরো জানান, বিজিবি চেক পোষ্টে হামলা ও অগ্নি সংযোগ ও কাঠ পাচারের ঘটনায় বিজিবির পক্ষ থেকে চন্দ্রঘোনা ও রাঙ্গুনিয়া থানায় ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নামা ২ হাজার জনকে আসামী করে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
বিজিবি সুত্রে জানা গেছে, কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী ইউনিয়নে ওয়াগ্গাছড়া জোন তথা ১৯ বিজিবির ঢংছড়ি চেক পোষ্টে রাত ৮টার দিকে চাঁদের গাড়ি ভর্তি চোরাই কাঠ পাচার করতে গিয়ে বিজিবির ধাওয়া খেয়ে পালানোর সময় গাড়ি উল্টে গিয়ে গাড়ীর নিচে চাপা পড়ে সাদ্দাম হোসেন (৩৫) নামে এক কাঠ পাচারকারী নিহত হয়। এসময় আহত হয় ১০জন। এদের মধ্যে ২ কাঠ পাচারকারী মারাত্মক আহত হলে তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হলে জাবেদ (৩৪) নামে আরো ১জন মারা যায়। এই ঘটনার জের ধরে উত্তেজিত জনতা ঢংছড়ি ক্যাম্পের গোল ঘর এবং চেক পোষ্টে আগুন ধরিয়ে দেয়।
১৯ বিজিবির অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সোহেল উদ্দিন পাঠান জানান, চাঁদের গাড়ি ভর্তি চোরাই কাঠ পাচার করার সময় তারা বিজিবির টহল দলের সামনে পড়ে। বিজিবি দেখে কাঠ পাচারকারীরা দ্রত পালানোর সময় হঠাৎ কাঠ বোঝাই চাঁদের গাড়ি উল্টে যায়। ঘটনাস্থলে সাদ্দাম হোসেন নামে এক ব্যক্তি মারা যান। এসময় কাঠ পাচারকারীদের সঙ্গে জড়িতরা এই ঘটনায় উত্তেজিত হয়ে ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয়। আগুনে গোল ঘর এবং চেক পোষ্ট পুড়ে যায়। এছাড়া বিদ্যুতের তারে আগুন লেগে বিদ্যুৎতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ৫ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোঁড়া হয় বলে ১৯ বিজিবির অধিনায়ক জানান। জনগণকে উত্তেজিত করার অপরাধে জুয়েল নামে একজনকে তাৎক্ষনিক আটক করা হয়।
এদিকে বৃহস্পতিবার রাতে সংঘর্ষের ঘটনার পর বড়খোলা পাড়াসহ আশ পাশের বেশ কয়েকটি পাড়া পুরুষ শূণ্য হয়ে পড়েছে। এই ঘটনার পর স্থানীয় বড়খোলা পাড়া বাজার বন্ধ রয়েছে। এলাকার লোক জনের মাঝে আতংক বিরাজ করছে। এলাকায় পুলিশ ও বিজিবি টহল জোরদার করা হয়েছে।
