॥ নিজস্ব প্রতিবেদক॥ ঘুর্ণিঝড় রোয়ানুর আঘাতে রাঙ্গামাটি জেলা শহর সহ উপজেলা গুলোতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। শনিবার দুপুর ১ টা থেকে বয়ে যাওয়া ঘুর্ণিঝড়ের ছোবলে শহরের রিজার্ভ বাজার, তবলছড়ি, বনরূপা, আসামবস্তী, ভেদভেদীর বিভিন্ন বাড়ীঘর ও দোকানের চাল উপড়ে ফেলেছে। ঘুর্ণিঝড়ের ছোবলে গতকাল সকাল থেকে রাঙ্গামাটি শহরে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বন্ধ ছিলো। এদিকে গতকাল ঘুর্ণিঝড়ের সময় নিজের বাগানের আম কুড়াতে গিয়ে লংগদু উপজেলায় এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর ছোবলে নানিয়ারচর উপজেলার ৪ টি ইউনিয়নের কাঁচা বাড়ী ঘর ও মৌসুমী ফলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ঝড়ো হাওয়ার কারণে আম, জাম, লিচু, আনারস সহ বিভিন্ন মৌসূমী ফল ঝড়ে পড়ে যাওয়ায় কৃষকরা মাথায় হাত দিয়েছে। শেষ মুহুর্তে বাজার জাতের আগেই এই ঝড় ব্যাপক ক্ষতি করেছে বলে কৃষকরা জানান।
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু আঘাতে রাঙ্গামাটি শহরে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২ টা থেকে শুরু হওয়া ঘুর্নিঝড়ের প্রভাব পড়ে রাঙ্গামাটি শহরে।
ঘুর্ণিঝড়ের প্রভাবে রাঙ্গামাটিতে হতাহতের কোন খবর পাওয়া না গেলেও কাঁচা বাড়ীঘরের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ক্ষতি হয়েছে মৌসুমী ফলের। বাজার জাত করণের শেষ মুহুর্তে ঝড়ো হাওয়ায় আম, লিচু, কাঠাল, আনারস সহ বিভিন্ন মৌসুমী ফল ঝড়ে পড়ে গেছে।
ঘূর্নিঝড়টি ঘণ্টায় ৬২ কিলোমিটার গতির বাতাসের শক্তি নিয়ে চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করেছে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক সামছুদ্দিন আহমেদ শনিবার বেলা দেড়টায় “ঘূর্ণিঝড়টি উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। রোয়ানু চট্টগ্রম উপকূলের সন্দ্বীপ, হাতিয়া, কুতুবদিয়া, সীতাকুণ্ড ও ফেনী উপকূল দিয়ে স্থলভাগে উঠে এসেছে।”
তিনি জানান, উপকূলের কাছাকাছি আসার পর এ ঘূর্ণিঝড় দ্রুত স্থলভাগের দিকে এগোতে শুরু করে। ঝড়ের পুরো পরিধি স্থলভাগে উঠে আসতে বিকাল পেরিয়ে যেতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে চট্টগ্রামসহ উপকূলীয় জেলাগুলোতে বইছে ঝড়ো বাতাস, সেই সঙ্গে চলছে বৃষ্টি।