দেশের একমাত্র প্রাকৃতিক মৎস্য প্রজনন ক্ষেত্র চট্টগ্রামের হালদা নদীতে অল্প পরিমাণে ডিম ছেড়েছে মা মাছ।
বুধবার রাতে নমুনা ডিম ছাড়ার পর শুক্রবার (২০ মে) ভোরেও মা মাছ অল্প পরিমাণে ডিম ছেড়েছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিলকিস জাহান।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, শুক্রবার ভোর পর্যন্ত মা মাছ যে পরিমাণ ডিম ছেড়েছে তা খুবই অল্প। সে অর্থে এখনও সংগ্রহের মতো আশানুরূপ ডিম পাওয়া যায়নি। তবে নদীতে ডিম সংগ্রহের অপেক্ষায় আছেন আহরণকারীরা।
বুধবার রাতে বৃষ্টির মধ্যে নমুনা ডিম ছাড়ে মা মাছ। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। শুক্রবারও বৃষ্টিপাত অব্যাহত আছে। যে কোন সময় মা মাছ ডিম ছেড়ে দিতে পারে বলে আশা করছেন আহরণকারীরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার রাতে নমুনা ডিম ছাড়ার পর থেকেই সরঞ্জাম নিয়ে হালদা নদীর বিভিন্ন অংশে অবস্থান নিয়েছেন আহরণকারীরা। ডিমের অপেক্ষায় শত শত মৎস্যজীবী নৌকা জাল নিয়ে নোঙ্গর করেছে।
এদিকে অনেকেই ডিম থেকে পোনা রূপান্তরের জন্য আগে থেকেই প্রস্তুত রেখেছেন মাটির চৌবাচ্চাগুলো। তবে ডিম দেওয়ার এ সম্ভাবনার মাঝেও প্রস্তুতি দেখা যায়নি মৎস্য বিভাগের হ্যাচারিগুলোতে। যে উদ্দেশ্য নিয়ে হ্যাচারি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল সেগুলো থেকে এই পর্যন্ত কাঙ্ক্ষিত সুফল না পেয়ে মৎস্যজীবীরা হতাশ।
হালদা গবেষক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো.মনজুরুল কিবরিয়া বাংলানিউজকে বলেন, ভরা পূর্ণিমা এবং বৃষ্টির কারণে শুক্রবারের মধ্যে ডিম ছাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
চট্টগ্রামের রাউজান-হাটহাজারী উপজেলা সীমানা দিয়ে বয়ে যাওয়া হালদা নদীতে প্রতি বছর চৈত্র থেকে আষাঢ় মাসে ডিম ছাড়ে মা মাছ। কৃত্রিম পোনার চেয়ে হালদার পোনা দ্রুত বর্ধনশীল হওয়ায় এ পোনার কদর রয়েছে সারা দেশে। পোনা ব্যবসায়ীরা স্থানীয়ভাবে হ্যাচারি তৈরি করে অপেক্ষায় থাকেন মা মাছ কখন ডিম ছাড়বে।
হালদা পাড়ের লোকজন জানিয়েছেন, এই মৌসুমে রাউজান ও হাটহাজারী এলাকার দুই শতাধিক মৎস্যজীবী ডিম সংগ্রহের প্রস্তুতি নিয়েছেন।