॥ মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, খাগড়াছড়ি থেকে ॥ খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিকল ট্রান্সফরমারটি অবশেষে মেরামতের উদ্যেগ নিয়েছে হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এইচইডি)। সম্প্রতি দৈনিক গিরিদর্পণ পত্রিকা ও গিরিদর্পণ অন লাইনে নিউজটি প্রকাশ হওয়ার পর কর্তৃপক্ষ এই উদ্যোগ নেয়। ট্রান্সফরমারটি বিকল অবস্থায় দুটি খুঁটির মাঝে ঝুলেছিল ১ মাসের অধিক সময় ধরে। তাছাড়া হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের দালালের মাধ্যমে ৩০ (ত্রিশ) হাজার টাকার বিনিময়ে মাসখানেক আগে একবার মেরামত করলেও তার স্থায়িত্বকাল ছিল মাত্র ৩দিন। এবার আবার সেই দালাল ইউসুফের হাত ধরেই ট্রান্সফরমারটি খুলে মেরামতের জন্য ট্রাক যোগে নেওয়া হয়েছে।
পানছড়ি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে কথা হয় ট্রান্সফরমার নিতে আসা ইউসুফের সাথে। তিনি জানান, খাগড়াছড়ি থেকে মাহাবুব ভাই আমাকে পাঠিয়েছে এটা নেওয়ার জন্য এর বেশী আমি কিছুই জানি না।
রাঙামাটি হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্টের কর্মকর্তা জহির রায়হানের সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি জানান, হাসপাতালের ব্যাপারতো তাই জরুরী ভিত্তিতে ট্রান্সফরমারটি মেরামতের উদ্যেগে নেওয়া হয়েছে। মেরামত খরচ আনুমানিক দেড় লক্ষ টাকার অধিক লাগতে পারে বলে তিনি ধারণা করছেন। তাছাড়া ইউসুফ তাদের ডিপার্টমেন্টাল কেউ নয়, তবে তার মাধ্যমে বিদ্যুতের মেরামত কাজ সম্পন্ন করে বলে তিনি জানান।
পানছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ও প প কর্মকর্তা ডা সনজীব ত্রিপুরা জানান, কক্সবাজার থেকে সরকারি সেমিনার শেষ করে এসে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এ দুরবস্থা দখতে পাই। বর্তমানে সকালে ৪ ঘন্টা ও সন্ধায় ৩ ঘন্টা জেনারেটর চালুর ব্যবস্থা করার ফলে স্বাভাবিক অবস্থা কিছুটা ফিরে এসেছে।
পানছড়ির অভিজ্ঞ মহল বলছেন, হেলথ ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট (এইচইডি)’র কেউই ঘটনাস্থলে আসে না। দালালের মাধ্যমেই তারা সব ধরনের কাজ সম্পন্ন করে। তাই যে কোনো কাজ হয় নিম্নমানের। ঘটনাস্থলে তারা উপস্থিত থেকে দিক নিন্দেশনা দিয়ে কাজ করালেই কাজের গুণগত মান ভালো হবে বলে তাদের ধারণা।