নাটকের শুটিং নিয়ে এই মুহূর্তে ব্যস্ত সুমাইয়া শিমু। জনপ্রিয় এই অভিনয়শিল্পীর কাজে ভিন্নতা রয়েছে। ভিন্নধর্মী গল্প তাঁকে টানে। ৬ জুন সন্ধ্যায় যখন তাঁর সঙ্গে কথা হচ্ছিল, তখন তিনি উত্তরায় নাটকের শুটিং করছিলেন। মুঠোফোনে ১০ মিনিট কথা হলো তাঁর সঙ্গে।
ঈদের নাটকের শুটিং করছেন?
হ্যাঁ, ফেরদৌস হাসানের একটি টেলিছবির শুটিং করছি। এতে আমার সহশিল্পী ইমন। আরও আছেন ঈশানা, দিলারা জামান ও তানভীর তনু।
কিছুদিন আগে কথা প্রসঙ্গে বলছিলেন ঈদের বেশ কয়েকটি কাজের কথা…
এবারের ঈদে আমার সাত-আটটি নাটক প্রচারের সম্ভাবনা আছে। পরিচালকেরা সেভাবেই বলেছেন। এখন দেখা যাক।
এই কয়টা কাজের মধ্যে কোনটিকে সেরা হিসেবে বেছে নেবেন?
এই প্রশ্নের উত্তর দেওয়াটা সত্যিই খুব মুশকিল। কারণ আমি একগাদা নাটকের কাজ করিনি। দেখে-শুনে-বুঝে ভালো গল্প আর গুণী নির্মাতাদের আটটির মতো নাটকের কাজ করেছি। এগুলো একেকটা একেক রকম। নাটকগুলো ভালো হবে বলেই আমার মনে হয়। আমি শুধু অভিনয়ের জন্যই অভিনয় করি না। আমরা অভিনয় করি, মানুষ আমাদের পছন্দ করেন, সেই হিসেবে তো আমাদের একটা সামাজিক দায়বদ্ধতাও আছে।
এবারের ঈদে আপনার অভিনীত নাটকগুলোতে কোন ধরনের বিষয়বস্তু প্রাধান্য পেয়েছে?
বিভিন্ন। সামাজিক সমস্যা যেমন আছে, তেমনি আছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ নিয়েও নাটক।
এবারের ঈদে আপনার সহশিল্পী কারা?
একাধিক নাটকে আছেন রিয়াজ ভাই। এ ছাড়া ইমন, সজল, মোশাররফ করিম ও নাঈম।
বিয়ের পর প্রথম রোজার ঈদ…
শুটিং শেষে আমার তো ফিরতে ফিরতে রাত হয়ে যাবে। তাই আমার বর আজ (সোমবার) বিকেলে মেসেজ পাঠিয়েছে, রোজার জন্য কী কী লাগবে? নতুন সংসারে আমাদের দুজনের জন্য এটা একেবারে প্রথম অভিজ্ঞতা। আমিও যত দূর মনে পড়ে, বিশাল একটা তালিকা পাঠিয়ে দিয়েছি। সে খুব খুশি। আমাকে পাল্টা উত্তরে পাঠাল, ‘তুমি তো অর্ধেক কষ্ট কমায়ে দিলা।’
নতুন সংসারে নিজেদের বাজার-সদাই কি দুজনেই করেন?
আমরা দুজনেই ব্যস্ত থাকি। খুব ঝামেলা না থাকলে বাসার বাজার একসঙ্গে করি। আর দুজনে বিষয়টি খুব এনজয় করিও।
ঈদে জামাইয়ের জন্য আপনার পক্ষ থেকে কী উপহার থাকছে?
এখন বললে তো সারপ্রাইজ থাকল না। ঈদে পাঞ্জাবি-পায়জামা তো পাবেই। ও টি-শার্ট পরতে পছন্দ করে, সেটাও পাবে। শার্ট-প্যান্টসহ প্রয়োজনীয় সবই সে পাবে। আমরা আবার ঈদের ঠিক কয়েক দিন আগে ব্যাংকক যাব, সেখান থেকেও কিছু কেনাকাটা সেরে নেওয়ার কথা ভাবছি।
আপনার ঈদ কেনাকাটা নিয়ে বলুন?
আমার সারা বছরই কেনাকাটা করা হয়। তাই ঈদ নিয়ে খুব একটা চিন্তা করি না। খুব অল্প করে কিছু কেনাকাটা সেরে নিই। এবার অবশ্য অনেক কেনাকাটা করব। কোনোটাই নিজের টাকায় হবে না, সবই জামাইয়ের টাকায়। (হাসি)।
ঈদে অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার পরিকল্পনা করে থাকেন। আপনাদের কি সে রকম কিছু ভাবনা আছে?
ঈদ তো জুলাইয়ের প্রথম সপ্তাহে। আমরা ২৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রে যাব। জামাইয়ের কাজও আছে। পাশাপাশি আমরা ঘুরব। এরপর আমরা কানাডাসহ ইউরোপের আরও কয়েকটা দেশ ঘুরব। আমাদের ইচ্ছে আছে ২৫ দিন থাকার। ১০ মিনিট শেষ। প্রথম আলোর সব পাঠককে শুভেচ্ছা। সবাই ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন, নিরাপদে থাকুন।
সাক্ষাৎকার মনজুর কাদের