আরও ১৩ পণ্যের মোড়কে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক হচ্ছে

এবার আরও ১৩টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। আগামী তিনমাসের মধ্য সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত পর্যায়ে রুপ নেবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
১৩টি পণ্যের মধ্য রয়েছে মরিচ, হলুদ, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, ডাল, ধনিয়া, আলু, ময়দা, আটা, তুষপরা, পোল্ট্রি ও ফিস ফিড।
পাট ও বস্ত্র মন্ত্রাণলয় সূত্র বাংলানিউজকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, গত ০৭ মে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে প্রাথমিকভাবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব নাসিমা বেগম বাংলানিউজকে বলেন, আরও ১৩টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক করার বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত হয়নি।
‘তবে মন্ত্রণালয়ের বৈঠকে সবার সম্মতিতে প্রাথমিকভাবে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে একটি কমিটিও গঠন করেছে মন্ত্রণালয়’- যোগ করেন তিনি।
এর আগে গত বছরের ৩০ নভেম্বর থেকে চাল, ধান, গম, ভুট্টা, চিনি ও সার- এ ছয়টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহার বাধ্যতামূলক নিশ্চিত করতে সাঁড়াশি অভিযান শুরু হয়।
বৈঠকে উপস্থিত থাকা পাট অধিদফতরের পরিচালক (প্রশাসন ও অর্থ) মোহাম্মাদ কেফায়াত উল্লাহ বাংলানিউজকে বলেন, নতুন ১৩টি পণ্যের মধ্যে ১০টি পণ্যের মোড়কীকরণে পাটের বস্তা ব্যবহারের সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত হয়েছে। আর ফিস ফিড, পোল্ট্রি ফিড ও আটার বিষয়টি এখনো যাচাই-বাছাই চলছে।
পাট অধিদফতরের এ ঊর্ধতন কর্মকর্তা বলেন, ওই ১৩টি পণ্যের মোড়কে পাটের বস্তা ব্যবহারের বিষয়ে টেকনিক্যাল কমিটির সুপারিশগুলো উপদেষ্টা কমিটি মন্ত্রণালয়ে উপস্থাপন করবে। এরপর মন্ত্রণালয় থেকে সবুজ সংকেত পেলেই সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়ন করা হবে।
সর্বোচ্চ আগামী তিনমাসের মধ্য সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
পাটের ব্যবহার বাড়াতে ২০১০ সালে ‘পণ্যে পাটজাত মোড়কের বাধ্যতামূলক ব্যবহার আইন’ করা হয়। আইন না মানলে কারা ও অর্থদণ্ড, ব্যাংকঋণ সুবিধা বন্ধ, লাইসেন্স বাতিল, আমদানি ও রফতানি সনদ বাতিলের বিধান রয়েছে।
আইনটির ১৪ ধারা অনুসারে পাটের মোড়ক ব্যবহার না করলে অনূর্ধ্ব এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে। এ অপরাধ পুনঃসংঘটিত হলে সর্বোচ্চ দণ্ডের দ্বিগুণ দণ্ডে দণ্ডিত করা হবে।

রাঙ্গামাটি জেলা প্রশাসককে বদলিজনিত ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে রাঙ্গামাটি প্রেস ক্লাব কর্মময় জীবনে জেলাবাসীর পাশাপাশি সাংবাদিকরাও অনেক সাহায্য করেছেন —–মোহাম্মদ মোশাররফ হোসেন খান জেলা প্রশাসক হিসেবে তিনি বিভিন্ন ধরনের সমস্যা শক্তহাতে সমাধান করেছেন —-এ কে এম মকছুদ আহমেদ

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930