ইউরো ফুটবল টুর্নামেন্টে সন্ত্রাসী হামলার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের

ইউরো ফুটবল টুর্নামেন্টে সন্ত্রাসী হামলার হুঁশিয়ারি যুক্তরাষ্ট্রের
বিবিসি বলছে, “গ্রীষ্মের মাসগুলোতে বিপুল সংখ্যক পর্যটক ইউরোপ ভ্রমণে যায়। এরা সন্ত্রাসীদের বড় ধরনের লক্ষ্যে পরিণত হতে পারে”, বলে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
এই মন্ত্রণালয় নিয়মিতভাবেই বিশ্বব্যাপী স্বল্প মেয়াদের ভ্রমণ সতর্কতা জারি করে থাকে, কিন্তু গেল ২০ বছরে এই নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ইউরোপের জন্য সতর্কতা জারি করল তারা।
ফুটবল টুর্নামেন্ট ছাড়াও পর্যটন এলাকা, রেস্তোরাঁ, বাণিজ্য কেন্দ্র এবং যোগাযোগ ব্যবস্থা হামলার লক্ষ্য হতে পারে বলে সতর্ক করেছে মন্ত্রণালয়টি।
এছাড়া ট্যুর দ্য ফ্রান্স সাইকেল রেস ও পোল্যান্ডের কারকৌ-এর ক্যাথলিক গির্জার ‘যুব দিবস’ অনুষ্ঠানেও হামলা হতে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। এ দুটি উপলক্ষ্য প্রায় ২৫ লাখ ‘ভ্রমণকারীকে টেনে আনবে’ বলে ধারণা করা হচ্ছে।
নিজেদের সতর্কবার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিকদের ইউরোপজুড়ে জঙ্গি হামলার ঝুঁকির বিষয়ে সতর্ক করেছে।
কোনো সুর্নিদিষ্ট হুমকির তথ্যের ভিত্তিতে এই সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে যুক্তরাষ্ট্রের এক কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন। তবে নিজের নাম প্রকাশ করেননি তিনি।
১০ জুন থেকে ইউরো ২০১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ শুরু হবে। ১০ জুলাই পর্যন্ত ফ্রান্সের বিভিন্ন ভেন্যুতে টুর্নামেন্টের খেলাগুলো অনুষ্ঠিত হবে।
ইউরোপের সেরা জাতীয় ফুটবল দলগুলোর এই প্রতিযোগিতা উপভোগ করতে ১০ লাখেরও বেশি পর্যটক ফ্রান্সে আসবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
রাজধানী প্যারিসে গেল নভেম্বরের সন্ত্রাসী হামলার পর থেকেই ফ্রান্সে একটি জরুরি অবস্থা জারি আছে। শহরের একটি ফুটবল স্টেডিয়াম, একটি কনসার্ট হল, কয়েকটি বার ও রেস্তোরাঁয় প্রায় একযোগে চালানো ওই আত্মঘাতী জঙ্গি হামলায় ১৩০ জন নিহত ও বহু মানুষ আহত হন।
এরপর চলতি বছরের মার্চে প্রতিবেশী বেলজিয়ামের রাজধানী ব্রাসেলসের বিমানবন্দরে ও একটি মেট্রো রেল স্টেশনে আত্মঘাতী বোমা হামলায় আরো ৩২ জন নিহত হন।
উভয় হামলারই দায় স্বীকার করেছে মধ্যপ্রচ্যের সন্ত্রাসী গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
ইউরো ২০১৬ ফুটবল চ্যাম্পিয়নশিপ চলা পর্যন্ত ফ্রান্সের জরুরি অবস্থার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। ৯০ হাজার পুলিশ, সেনা ও বেসরকারি নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হচ্ছে। অন্যান্য পদক্ষেপের মধ্যে ড্রোন-প্রতিরোধী প্রযুক্তি মোতায়েন করারও পরিকল্পনা হচ্ছে।

মুক্ত গণমাধ্যম চাই : সকল গণমাধ্যমে এক নীতিমালা, তথাকথিত ওয়েজ বোর্ড বাতিল, নিজস্ব বেতন বোর্ড, বিজ্ঞাপন ও ক্রোড়পত্র নীতিমালা নিয়ন্ত্রণ মুক্ত, প্রয়োজনীয় কাঁচামালের মূল্য কমানো ও মফস্বলের পত্রিকাগুলো সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি করে টিকিয়ে রাখতে হবে

Archive Calendar
Sat Sun Mon Tue Wed Thu Fri
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
252627282930