বাংলাদেশ ব্যাংকের রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে একজন তৈরি পোশাক রপ্তানিকারক এখন থেকে দুই কোটি ডলার পর্যন্ত ঋণ নিতে পারবেন।
এতদিন এই সীমা ছিল এক কোটি ৫০ লাখ ডলার।
সোমবার ঋণ সীমা বাড়ানোর এই ঘোষণা দিয়ে এক সার্কুলার জারি করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
রপ্তানি বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে সার্কুলারে বলা হয়েছে।
এতে বলা হয়, ২০১৩ সালের ১০ অক্টোবরের নির্দেশনা অনুযায়ী, উৎপাদনকারী-রপ্তানিকারকদের জন্য উপকরণাদি আমদানির ক্ষেত্রে অনুমোদিত ডিলার রপ্তানি ঋণপত্র/নিশ্চিত চুক্তি/ অভ্যন্তরীণ ব্যাক টু ব্যাক ঋণপত্রের বিপরীতে একজন রপ্তানিকারক ইডিএফ থেকে সর্বোচ্চ এক কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ গ্রহণ করতে পারত।
“এখন এই সীমা বাড়িয়ে ২ কোটি ডলার করা হল।”
মঙ্গলবার থেকে তৈরি পোশাক রপ্তানিকারকদের শীর্ষ সংগঠন বিজিএমইএর একজন সদস্য ইডিএফ থেকে সর্বোচ্চ দুই কোটি ডলার ঋণ নিতে পারবেন।
রপ্তানি খাতে সহায়তা দিতে ১৯৮৯ সালে মাত্র তিন কোটি ডলার দিয়ে ইডিএফের যাত্রা শুরু হয়। দফায় দফায় বাড়িয়ে এই তহবিলের পরিমাণ এখন ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এর মধ্যে ২০১৩ সালের ১৭ জুলাই এই তহবিলের পরিমাণ ১০০ কোটি ডলার করা হয়। পরের বছর ৬ এপ্রিল এ তহবিলের পরিমাণ আরও বাড়িয়ে করা হয় ১২০ কোটি ডলার।
মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে ২০১৪ সালের ২২ জুন এই তহবিল আরও ৩০ কোটি ডলার বাড়িয়ে ১৫০ কোটি ডলারে উন্নীত করা হয়। এরপর সর্বশেষ ২০১৫ সালের ২৭ মে তা আরও ৫০ কোটি ডলার বাড়ানোয় ইডিএফের পরিমাণ এখন বেড়ে ২০০ কোটি ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সোমবার পর্যন্ত ইডিএফ থেকে বিজিএমইএ, বিকেএমইএ, বিটিএমএ, লেদার এবং সিরামিক খাতের একজন রপ্তানিকারক সর্বোচ্চ এক কোটি ৫০ লাখ ডলার ঋণ নিতে পারতেন।
প্যাকেজিং খাতের একজন রপ্তানিকারক পেতেন সর্বোচ্চ ২০ লাখ ডলার। আর প্ল্যাস্টিক খাতের একজন রপ্তানিকারক পেতেন ১০ লাখ মিলিয়ন ডলার।
মঙ্গলবার থেকে শুধু বিজিএমইএর সদস্যরা ইডিএফ থেকে সর্বোচ্চ দুই কোটি ডলার ঋণ নিতে পারলেও অন্যান্য খাতের ঋণ সীমা অপরিবর্তিত থাকবে বলে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সার্কুলারে বলা হয়েছে।
রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) তথ্য অনুযায়ী- বিদায়ী ২০১৫-১৬ অর্থবছরের প্রথম ১১ মাসে (জুলাই-মে) বিভিন্ন পণ্য রপ্তানি করে বাংলাদেশ তিন হাজার ৬৬ কোটি ৪২ লাখ (৩০ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন) লাখ ডলার আয় করেছে, যা গত অর্থবছরের একই সময়ে চেয়ে ৯ শতাংশ বেশি।
এর মধ্যে ৮২ শতাংশই এসেছে তৈরি পোশাক রপ্তানি থেকে।
ইডিএফের সুদের হার হচ্ছে লাইবর (লন্ডন ইন্টার ব্যাংক অফার রেট) এর সঙ্গে ২ দশমিক ৫০ শতাংশ।