রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় ইমারত নির্মাণ আইনে দায়ের হওয়া মামলায় ভবন মালিক সোহেল রানাসহ ১৮ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেছেন আদালত।
এ চার্জ গঠনের মধ্য দিয়ে ইমারত নির্মাণ আইনে মামলাটির আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হলো।
মঙ্গলবার (১৪ জুন) শুনানি শেষে ঢাকার অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোস্তাফিজুর রহমান এ চার্জ গঠন করেন। একই সঙ্গে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আগামী ২৩ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আদালত।
এদিকে আদালতে হাজির না হওয়ায় সাভার পৌরসভার প্রকৌশলী মাহবুবুর রহমান, নগর পরিকল্পনাবিদ ফারজানা ইসলাম, মাহবুবুল আলম, ঠিকাদার নান্টু, রেজাউল ইসলামের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
এদিন রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানাসহ কারাগারে আটক আসামিদের আদালতে হাজির করা হয়।
২০১৫ সালের ১ জুন রানা প্লাজা ধসের ঘটনায় দায়ের করা দু’টি মামলায় হত্যা ও ইমারত নির্মাণ আইনে পৃথক দু’টি চার্জশিট দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) সিনিয়র এএসপি বিজয় কৃষ্ণ কর।
মামলা দু’টির চার্জশিটে রানা প্লাজার মালিক সোহেল রানা ও তার বাবা-মাসহ মোট ৪২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে দণ্ডবিধির মামলায় ৪১ জন ও ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় ১৮ জন আসামি হয়েছেন।
ইমারত নির্মাণ আইনের মামলার ১৮ আসামির ১৭ জনই দণ্ডবিধি মামলারও আসামি। শুধুমাত্র মাহবুবুল আলম নামক একজন গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ইমারত নির্মাণ আইনের মামলায় আসামি করা হয়েছে। ফলে দু’টি মামলা মিলিয়ে আসামি হয়েছেন মোট ৪২ জন।
২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারে রানা প্লাজা ধসে ১ হাজার ১৩৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়। আহত হন আরও ১ হাজার ৫২৪ জন।
ভবন ধসে প্রাণহানির এ ঘটনায় সে সময় ‘অবহেলাজনিত মৃত্যুর’ অভিযোগে একটি মামলা করেন সাভার থানার এসআই ওয়ালী আশরাফ। ওই মামলার এজাহারে সোহেল রানাসহ ২১ জনকে আসামি করা হয়। তবে অভিযোগপত্রে ৪১ জনকে আসামি করে তাদের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।
আর ইমারত বিধি মেনে রানা প্লাজা নির্মাণ করা হয়নি- এমন অভিযোগে রানাসহ ১৩ জনকে আসামি করে সাভার মডেল থানায় আরেকটি মামলা করেছিলেন রাজউকের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. হেলাল আহমেদ।
