॥ চট্টগ্রাম অফিস ॥ পুলিশ সুপার (এসপি) বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিককে আটক করেছে পুলিশ। তবে মোটরসাইকেলে যে নম্বর প্লেট রয়েছে তা ভুয়া বলে জানা গেছে। হত্যাকান্ডের সময় মোটরসাইকেলটিতে অন্য একজনের নম্বর প্লেট ব্যবহার করা হয় বলে অনুসন্ধানে জানতে পেরেছে পুলিশ।
জানা গেছে, রবিবার রাতে নগরীর শুলকবহরের বড় গ্যারেজ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ‘চট্টমেট্রো-ল-১২-৯৮০৭’ নম্বরের মোটরসাইকেলটি জব্দ করে পুলিশ। পরে বিআরটিএ চট্টগ্রাম কার্যালয়ের তথ্যমতে, এ নম্বরের গাড়ির মালিক মো. আবদুর রহিম। পিতা-মৃত সৈয়দ আহমেদ। ঠিকানা-১৮/১৯ টেরিবাজার, সিটি টাওয়ার, চট্টগ্রাম বলে জানতে পারে পুলিশ। ২০১৪ সালে মোটরসাইকেলটির নিবন্ধন করা হয়।
আবদুর রহিম জানান, তার মোটরসাইকেলটি নিজ হেফাজতে রয়েছে। তবে একই নম্বরের যে মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে সেটির চেসিস ও ইঞ্জিন নম্বর থেকে এর প্রকৃত মালিক দেলোয়ার হোসেনকে চিহ্নিত করে সোমবার রাতে নগরীর জামাল খান এলাকা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিএমপি কমিশনার মো. ইকবাল বাহার বলেন, ‘এ হত্যাকান্ডের সঙ্গে মোটরসাইকেলের প্রকৃত মালিক দেলোয়ার হোসেনের কোনো সম্পৃকতা আছে কি না তাও যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।’
জিজ্ঞাসাবাদে দেলোয়ার হোসেন জানিয়েছেন, তিনি ২০১১ সালে এক দালালের মাধ্যমে মোটরসাইকেলটি ৭০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দিয়েছেন। এরপর তিনি গাড়িটি সম্পর্কে কিছুই জানেন না।
এদিকে সোমবার সকালে ব্যবসায়ী আবদুর রহিমকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি জানান, এ নম্বরের গাড়িটি তার কাছেই রয়েছে। পুলিশও সেই প্রমাণ পেয়ে তাকে আপাতত ছেড়ে দেন।
নগরীর জিইসি মোড়ে রবিবার (৫ জুন) সকালে প্রকাশ্যে মোটরসাইকেলে এসে ছুরিকাঘাত ও গুলি করে এসপি বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতুকে খুন করে দুর্বৃত্তরা।