॥ আহমদ নবী, কাপ্তাই ॥ রাষ্ট্রায়াত্ব চন্দ্রঘোনা কর্ণফুলী পেপার মিলস লিঃ (কেপিএম) এ দু’মাস যাবত শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতাদি বন্ধ রয়েছে। এছাড়া আরো ৩ মাসের অধিকাল ভাতা (ওটি) বকেয়া পড়েছে। ফলে শ্রমিক কর্মচারীরা আর্থিক অনটনের পড়ে মানবেতর দিন যাপন করছে। এ নিয়ে কর্মজীবিদের মাঝে চাপা উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে শ্রম অসন্তোষ সহ আইন শৃংখলার অবনতির আশংকা রয়েছে।
কর্মজীবিদের কাছ থেকে জানা গেছে, গত এপ্রিল ও মে ২০১৬ মাসের বেতন ভাতাদি এখনও পরিশোধ করা হয়নি। এছাড়া মার্চ, এপ্রিল ও মে মাসের অধিকাল ভাতা সহ ২০% এর বকেয়া বিল আজোও পরিশোধ করা হয়নি। বেতন ভাতাদি ও অধিকাল বিল পরিশোধ না করায় আর্থিক সংকটে পড়ে কর্মজীবিরা মানবেতর দিন যাপন করছে। এছাড়া আসন্ন রমজান উপলক্ষে এ সমস্যা আরো বেশী হচ্ছে। মিলের জন্ম লগ্ন থেকে এধরনের সমস্যা এবারই প্রথম বলে কর্মজীবিরা জানান। মিল এলাকায় শ্রমিক অসন্তোষ দিন দিন দানা বেধে উঠছে। যে কোন মুুহুর্তে এ নিয়ে আইন শৃংখলার চরম অবনতি ঘটার আশংকা করা হচ্ছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে মিলের সিবিএ সভাপতি তৌহিদ আল মাহবুব চৌধুরী বলেন, বেতন ভাতাদি বন্ধ থাকায় শ্রমিকদের খুবই অনুবিধা হচ্ছে। তাই দুয়েক দিন অপেক্ষা করে বাধ্য হয়ে ঘেরাও কর্মসুচীর দিকে এগিয়ে যেতে হবে তাদের। মিলের জিএম (প্রশাসন) মোঃ আনোয়ার হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, মিলের এ সমস্যা থকবেনা। সহসাই বেতন ভাতাদি পরিশোধ করা সম্ভব হবে। তিনি আরো বলেন, ২ হাজার ৩শ’ কোটি টাকার একটি প্রকল্প মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। এটি হলে মিলটির সব সমস্যা দুরীভুত হয়ে যাবে।
প্রসংগত, গত জানুয়ারী থেকে মার্চ ২০১৬ পর্যন্ত কেপিএম থেকে ৩৩০ জন শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে অন্যত্র বদলী করা হয়েছে। এতে মিলে প্রতিমাসে প্রায় কোটি টাকার অধিক পরিমান টাকা সাশ্রয় হলেও গত এক বছর ধরে মিলে শ্রমিক কর্মচারীদের বেতন ভাতা নিয়মিত পরিশোধ করা হচ্ছেনা।