॥ লিটন ভট্টাচার্য্য রানা,খাগড়াছড়ি॥ খাগড়াছড়ির সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা শানে আলমের উপর হামলা ও দলীয় কোন্দলের জেরে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে পাল্টা-পাল্টি মিছিল হয়েছে।
খাগড়াছড়ি শহরের পানখাইয়া পাড়া সড়কে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে সামনে মঙ্গলবার রাত সোয়া ৯টার দিকে প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হন মো. শানে আলম।
শানে আলম এ ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও তার ছোট ভাই মেয়র মো. রফিকুল আলমকে দায়ী করেছেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার সকালে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি সমর্থিত খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শহরে বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে। মিছিল থেকে ঘটনার জন্য জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম ও পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমকে দায়ী করে শ্লোগান দেওয়া হয়।
এমপি গ্রুপের মিছিলের পর পরই পানখাইয়া পাড়া এলাকা থেকে জেলা আওয়ামী লীগের শ্রমবিষয়ক সম্পাদক কামাল পাটোয়ারির নেতৃত্বে জাহেদুল আলম গ্রুপের মিছিলটি বের হয়ে শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এ সময় তারা এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরার বিরুদ্ধে শ্লোগান দেয়।
এদিকে মো. শানে আলমের উপর হামলার ঘটনায় জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি রণবিক্রম ত্রিপুরার নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল জেলা প্র্রশাসক মুহাম্মদ ওয়াহিদুজ্জামানের সঙ্গে দেখা করে ঘটনার সুষ্ঠুবিচার দাবী করা হয়। এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি কল্যান মিত্র বড়ুয়া, সাংগঠনিক সম্পাদক মংক্যচিং চৌধুরী, মংশেপ্রু চৌধুরী অপু, জেলা যুবলীগের সভাপতি যতন কুমার ত্রিপুরা ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক চন্দন কুমার দে উপস্থিত ছিলেন।
খাগড়াছড়ি সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সামসুউদ্দিন বলেন, ‘শানে আলম নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় কয়েকজন যুবক তাকে চড়-থাপ্পড় মারে। তবে এ ব্যাপারে এখনও কোনো মামলা হয়নি।
প্রসঙ্গত, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলেন। নির্বাচনে জাহেদুল আলমের ছোট ভাই নাগরিক কমিটির ব্যানারে প্রার্থী হয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। মূলত ওই পৌরসভা নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী মনোনয়ন দেওয়াকে কেন্দ্র করে খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগ দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। সেই থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি ও সাধারণ সম্পাদক জাহেদুল আলম গ্রুপের মধ্যে দফায় দফায় হামলা ও মামলার ঘটনা ঘটছে। প্রশাসন দুই গ্রুপের সংঘাত থামাতে দলীয় কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দিলেও বন্ধ করা যায়নি সংঘাত।