॥ খাগড়াছড়ি সংবাদদাতা ॥ ট্রান্সফরমার বিকল হওয়ায় টানা এক মাস ধরে বিদ্যুৎবিহীন অবস্থায় রয়েছে খাগড়াছড়ি জেলার পানছড়ি উপজেলার একমাত্র সরকারি চিকিৎসা সেবাকেন্দ্র পানছড়ি হাসপাতাল। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালের চিকিৎসা সেবা ভেঙ্গে পড়েছে। চিকিৎসা নিতে এসে উল্টো আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন রোগীরা।
বিকল হওয়া ট্রান্সফরমার সচল করারও কোন উদ্যোগ নেই। এ নিয়ে জনগণের মাঝে বিরাজ করছে চরম ক্ষোভ।
গত ১৩ মে হাসপাতালটির ট্রান্সফরমার বিকল হয়ে যায়। সেদিন থেকে হাসপাতালটি বিদ্যুৎবিহীন রয়েছে। কয়েক ঘণ্টা জেনারেটর চালিয়ে কোন রকমে চলছে হাসপাতালটির বিদুৎ ব্যবস্থা। ফলে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালে সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা বন্ধ রয়েছে। চিকিৎসা নিতে আসা রোগীরা কোন ধরনের চিকিৎসা সেবা পাচ্ছে না। অনেকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে প্রচন্ড গরমে আরও অসুস্থ হয়ে পড়ছেন।
পানছড়ি হাসপাতালের টেকনেশিয়ান সলিট চাকমার বলেন, বিদ্যুৎ না থাকায় হাসাপাতালে কোন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা যাচ্ছে না। টিকাসহ মূল্যবান ঔষধ সংরক্ষণ করা সম্ভব না হওয়ায় গুণগত মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
তিনি টিকার গুণগতমান রক্ষা করতে +২ ও +৮ ডিগ্রি তাপমাত্রায় ফ্রিজিং করা দরকার। পানছড়ি হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার বিদুর্শী চাকমা বিপু জানান, প্রতিদিন হাসপাতালে আউটডোর ও ইনডোর মিলে প্রায় দেড় শতাধিক রোগী আসে। বিদ্যুৎ না থাকায় হাসপাতালে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। রাতে মোমবাতি জ্বালিয়ে চিকিৎসা সেবা দেন চিকিৎসকরা। ট্রান্সফরমারটি সচল করার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হলেও কোন কাজ হয়নি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতরের সহকারী প্রকৌশলী মো. জহির রায়হান জানান, ট্রান্সফরমারটি সচল করতে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান প্রত্যুত্তর চাকমা জানান, বিকল ট্রান্সফরমার সচল করাসহ হাসপাতালে দ্রুত বিদ্যুৎ সরবরাহের দাবিতে স্থানীয়রা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করলেও টনক নড়েনি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। তিনি ফের জনগণকে নিয়ে মাঠে নামার ঘোষণা দিয়ে এ জনপ্রতিনিধি বলেন, অনাকাঙ্খিত পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে প্রশাসনকেই দায় নিতে হবে।