শিরোনাম
প্রচ্ছদ / চট্টগ্রাম / গুপ্তহত্যা ও জঙ্গিবাদ ঠেকাতে ঐক্যের ডাক মহিউদ্দিনের

গুপ্তহত্যা ও জঙ্গিবাদ ঠেকাতে ঐক্যের ডাক মহিউদ্দিনের

পরিকল্পিত গুপ্তহত্যা, উগ্র ধর্মীয় জঙ্গিবাদ ও সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র ঠেকাতে বিভেদ ভুলে ঐক্যের ডাক দিয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী।
রোববার (১৯ জুন) বিকেলে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সামনে ১৪ দলের মানববন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান।
মহিউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘এটি কেন্দ্র ঘোষিত প্রতীকী সমাবেশ। আমরা লালদীঘিতে বৃহত্তর সমাবেশ করবো। কেন্দ্র ঘোষিত কর্মসূচিগুলো পালন করবো। প্রতিটি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে, এলাকায় এলাকায়, পাড়া-মহল্লার মানুষকে একাত্তরের মতো ঝুঁকি নিয়ে এগিয়ে আসতে হবে। তা না হলে চলবে না।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের যোগ্যতা, দক্ষতা, সাহসিকতা আছে। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। জঙ্গিদের, সন্ত্রাসীদের একাত্তরে পরাজিত শক্তির কাছে মাথা নত করবো না। নির্ভয়ে এগিয়ে যাবো।’
ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘ছাত্র ভাইয়েরা, দলাদলি করে কিছু লোক ঐক্যে ফাটল ধরাতে চায়। একাত্তরে নিজেদের মধ্যে আমাদের প্রতিযোগিতা ছিল কে আগে শত্রপক্ষকে আঘাত করবে, কে আগে বীরের মতো যুদ্ধ করে জীবন দেবে। এখন তোমাদেরও ভেদাভেদ ভুলে একাত্তরের চেতনায় এগিয়ে আসতে হবে। দেশের জন্যে কাজ করতে হবে।’
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকায় বিস্ময় জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সাহসী পুলিশ অফিসার বাবুল আক্তারের স্ত্রীর হত্যাকারী কে এখনো উদঘাটন হয়নি। কেন হবে না?’
মানববন্ধনে বক্তব্যে দেন সিটি মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আলম চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সুনীল সরকার, মাহতাব উদ্দিন, নঈমুদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, আইনবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী, ১৪ দল নেতা ইন্দু নন্দন দত্ত, অ্যাডভোকেট আবু হানিফ, স্বপন সেন প্রমুখ।
আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ‘একাত্তরে স্বাধীনতার প্রত্যক্ষভাবে বিরোধিতাকারীরা গুপ্তহত্যা চালিয়ে দেশকে অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করতে চায়। তারা সংখ্যালঘু, বিদেশি নাগরিক, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তির তালিকা তৈরি করে একে একে হত্যা করছে। এমন পরিস্থিতিতে সারা দেশের নাগরিকদের ঐক্যবদ্ধ হওয়া প্রয়োজন। স্ব স্ব অবস্থান থেকে এগিয়ে আসতে হবে।’
নুরুল আলম চৌধুরী বলেন, ‘বাবুল আক্তারের বউকে কেন মারা হয়েছে, কারণ তিনি জঙ্গি আস্তানার খোঁজ পেয়েছিলেন। গত শুক্রবার চকবাজার অলি খা মসজিদের সামনে হিজবুত তাহরির লিফলেট বিলি করলো, কেন তাদের ধরা হলো না?’
তিনি বলেন, ‘১৪ দলের সমাবেশ মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় হয়ে থাকে, তিনি ডাকলে আমরা যাবো। যেকোনো মূল্যে গুপ্তঘাতক ও সন্ত্রাসীদের প্রতিহত করবো। ’
মোছলেম উদ্দিন আহমদ বলেন, ‘সরকারের সাফল্যে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি গোষ্ঠী একের পর এক চক্রান্ত করছে। তারা দেশকে জঙ্গিরাষ্ট্র বানাতে চায়। গুপ্তহত্যা আর বিদেশি হত্যার মাধ্যমে দেশকে অস্থিতিশীল করে তুলতে চায়। সময় এসেছে তাদের দাঁত ভাঙা জবাব দেওয়ার।

পড়ে দেখুন

বান্দরবানে অনগ্রসর নারীদের সেলাই মেশিন, প্রশিক্ষণ ভাতা, সনদপত্র ও স্বেচ্ছাসেবী মহিলা সমিতিকে অনুদান বিতরণ

॥রাহুল বড়ুয়া ছোটন, বান্দরবান॥ বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা মুজিব এঁর ৯৩ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষ্যে …