পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রির দ্বিতীয় দিনেও চাহিদা তেমন একটা না থাকায় টিকেট বিক্রির কার্যক্রম এখনো জমে ওঠেনি।
যাত্রীদের উপস্থিতি কম থাকায় এখনো পর্যন্ত অবিক্রিত আছে অধিকাংশ টিকেট।
বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সকাল থেকে ২ জুলাইয়ের অগ্রিম টিকেট বিক্রি করা হচ্ছে। কিন্তু টিকেটের জন্য নেই যাত্রীদের সেই চিরচেনা ভিড়।
বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বাংলানিউজকে জানান, দ্বিতীয় দিনেও অগ্রিম টিকেট বিক্রির কার্যক্রম জমে ওঠেনি। যাত্রীদের উপস্থিতি কম থাকায় টিকেটের চাহিদাও কম। আজকের জন্য আমরা ৭ হাজার টিকেট বরাদ্দ রেখেছি। যতক্ষণ টিকেট থাকবে ততক্ষণ যাত্রীরা তা সংগ্রহ করতে পারবেন। কিন্তু সকাল ১১টা পর্যন্ত অধিকাংশ টিকেট অবিক্রিত রয়ে গেছে।
এর কারণ হিসেবে তিনি বলেন, অনেকেই এখনো ঈদের ছুটি ম্যানেজ করতে পারেনি। তাই টিকেটের চাহিদাও কম। শুক্রবার থেকে আশা করছি টিকেটের চাহিদা বাড়বে।
রেলওয়ে সূত্র জানায়, অগ্রিম টিকেট বিক্রি কার্যক্রমে ২৪ জুন ৩ জুলাই, ২৫ জুন ৪ জুলাই ও ২৬ জুন দেওয়া হবে ৫ জুলাইয়ের টিকেট। একইভাবে ৪ জুলাই ৮ জুলাই’র ফিরতি টিকেট দেওয়া হবে। ৫ জুলাই ৯, ৬ জুলাই ১০, ৭ জুলাই ১১ ও ৮ জুলাই ১২ জুলাই’র টিকেট দেওয়া হবে।
পরিবহন বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, সুবর্ণ এক্সপ্রেস প্রতিদিন সকাল ৬টা ৪০ মিনিট, মহানগর প্রভাতী বেলা সাড়ে ১২টায়, চট্টলা এক্সপ্রেস সকাল ৯টায়, মহানগর গোধূলী বিকেল ৩টায়, তূর্ণা এক্সপ্রেস রাত ১১টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাবে। সোনার বাংলা এক্সপ্রেস প্রতিদিন বিকেল ৫টায় চট্টগ্রাম ছেড়ে যাবে।
পাহাড়িকা সকাল সোয়া ৮টায়, উদয়ন এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ৯টায় সিলেটের উদ্দেশ্যে এবং মেঘনা এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিকেল পাঁচটায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম ত্যাগ করবে।
কর্ণফুলী এক্সপ্রেস সকাল ১১টায় ও ঢাকা মেইল এক্সপ্রেস রাত সাড়ে ১০টায় ঢাকার উদ্দেশ্যে, সাগরিকা এক্সপ্রেস সকাল সাড়ে ৭টায় চাঁদপুরের উদ্দেশ্যে, ময়মনসিংহ এক্সপ্রেস বিকেল ৩টা ১০ মিনিটে বাহাদুরাবাদের উদ্দেশ্যে ও জালালাবাদ এক্সপ্রেস সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় সিলেটের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম স্টেশন ছেড়ে যাবে।