নতুন অর্থবছরের (২০১৬-১৭) প্রস্তাবিত বাজেট ঘোষণার দিন থেকে আবারো দরপতনের বৃত্তে আটকা পড়েছে দেশের পুঁজিবাজার। ঘোষিত এ বাজেটে পুঁজিবাজারে উন্নয়ন ও বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ রক্ষার কোনো প্রস্তাব গ্রহণ না করায় বাজার দরপতনের ধারায় ফিরেছে বলে মনে করেন বাজার সংশ্লিষ্টরা।
এর ফলে বাজেট পরবর্তী দুই কার্যদিবসের লেনদেনে দরপতন হয়েছে। পাশাপাশি কমেছে লেনদেন ও বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম।
আগের দুই কার্যদিবসের মতো সপ্তাহের দ্বিতীয় কার্যদিবস সোমবার (০৬ জুন) দিনভর সূচকের ওঠানামা শেষে ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ১৫ পয়েন্ট, চট্টগ্রামের বাজারে কমেছে ২৬ পয়েন্ট।
এর আগের দিন রোববার (০৫ জুন) ঢাকার বাজারে সূচক কমেছে ২০ পয়েন্ট, চট্টগ্রামে কমেছে ৪৫ পয়েন্ট।
এদিকে বাজারের স্বার্থে ঢাকা ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ বাজেটে তাদের দাবিগুলো পুনর্বিবেচনার দাবি জানিয়েছে। বাজেট পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায় সংবাদ সম্মেলনে রোববার (০৫ জুন) এসব দাবি জানানো হয় স্টক এক্সচেঞ্জগুলোর পক্ষ থেকে।
সোমবার সূচকের নিম্নমুখী প্রবণতায় লেনদেন শুরু হয়। তবে লেনদেনের শেষ ঘণ্টায় সূচক পতনে কিছুটা ধীরগতি আসলেও তা নেগেটিভ অবস্থানে লেনদেন শেষ হয়। দিন শেষে দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ১৪ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট কমে ৪ হাজার ৪১০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
ডিএসইএস সূচক আগের দিনের চেয়ে ৪ দশমিক ৪০ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৮৩ পয়েন্টে এবং ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের চেয়ে ১০ দশমিক ০৬ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৭৩৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ২৮২ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ৩০৭ কোটি টাকা।
লেনদেন হওয়া কোম্পানিগুলোর মধ্যে দাম বেড়েছে ৭৮টির, কমেছে ১৯১টির এবং অপরিবর্তিত আছে ৪৭টি।
দেশের অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রধান সূচক সিএসইএক্স ২৩ দশমিক ৬৮ পয়েন্ট কমে ৮ হাজার ২৬০ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
এদিন সিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১৮ কোটি টাকা। আগের দিন লেনদেন হয়েছিলো ২১ কোটি ৫৫ লাখ টাকা।
লেনদেন হওয়া ২২১টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের মধ্যে দাম বেড়েছে ৬১টির, কমেছে ১৪৩টির এবং অপরিবর্তিত আছে ১৭টি।